পর্দায় কখনও তিনি ‘চুনি’, কখনও বা ‘উর্মি’। বর্তমানে টেলিভিশনের দর্শকেরা তাঁকে ‘আনন্দী’ নামেই চেনেন। পুজোর মরসুমে ব্যস্ততার ঘূর্ণিতে ঘুরলেও অন্বেষা হাজরা নিজের সময়কে ভাগ করে নেন একেবারে আলাদা ভাবে। অভিনয়ের পাশাপাশি পুজোকে ঘিরে তাঁর কিছু ছোট্ট ছোট্ট স্মৃতি ও অভ্যাস আজও সমান ভাবে রঙিন।
ধারাবাহিকের কাজ নিয়েই এখন তাঁর দিনরাত। সম্প্রচারের সময় বাড়ায় বেড়েছে পরিশ্রমও। আগে যেখানে আধঘণ্টা পর্ব হত, এখন তা ৪০ মিনিট। তাই স্বাভাবিকভাবেই শুটিংয়ের চাপ বেড়েছে। তবে ব্যস্ততার মাঝেই পুজোর আগে কিছুটা কাজ গুছিয়ে নিতে চান অন্বেষা। কারণ পঞ্চমী থেকে অন্তত কয়েকটা দিন তিনি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চান।
আর পাঁচজনের মতো প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখা বা ঘুরে বেড়ানো তাঁর স্বভাবে নেই। বাড়ির পুজোই তাঁর কাছে প্রধান আকর্ষণ। প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো এই পারিবারিক দুর্গোৎসবের চার দিন যেন বিয়েবাড়ির মতোই কেটে যায়। শহরের ভিড় বা কোলাহল একেবারেই না-পসন্দ তাঁর। তাই শপিং কিংবা শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় গেলেও ভিড় সামলানো তাঁর পক্ষে কঠিন হয়ে ওঠে।
পুজো মানেই নতুন জামাকাপড় কেনার উৎসব এই ধারণায় তিনি বিশ্বাসী নন। বরং পুরনো পোশাকই আবার ব্যবহার করতে দ্বিধা নেই। মজার ব্যাপার, বাড়ির পুজোয় কোনও কাজেই তিনি হাত দেন না। ছোটবেলায় দাদার দেওয়া এক বুদ্ধি আজও মনে রেখেছেন অন্বেষা। অঞ্জলির আগে বেশি খিদে না পেতে ঘুমিয়ে থাকার অভ্যাস সেই থেকেই তৈরি। আর পরিবারের নিয়মও এমন যে উপোস করে পূজা দেওয়ার কোনও রীতি নেই।
তবে আনন্দ-উৎসবের মাঝেই এক ফাঁকা জায়গা আজও অন্বেষার মনে বাজে দাদুর অনুপস্থিতি। নয় বছর আগে তিনি প্রয়াত হলেও, দুর্গাপুজোয় তাঁর অভাব স্পষ্ট হয়। তবুও সেই শূন্যতা কিছুটা ভরে ওঠে ভাই-বোনদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আনন্দে। সারা বছর যে যেখানেই থাকুক, পুজোর ক’টা দিন সবাই একসঙ্গে হয়ে উঠেই যায় হইহই, আড্ডা আর স্মৃতিচারণে ভরা। আর অন্বেষার কথায়, পুজোটা তাঁর কাছে মানেই ঘুম, বাড়ি আর পরিবারের ভালবাসা।
আরও পড়ুনঃ টুকে টুকেই পাস! ফুলকির নতুন পর্বে হুবহু মিঠাইয়ের ছাপ! রোহিতের মৃ’ত্যুর পর রকস্টার রূপে ফিরে আসার ট্র্যাক দেখে দর্শকেরা বিস্মিত! মিঠাইকে ঝেঁপে আর কতদিন চলবে? প্রশ্ন দর্শকদের
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।