জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“বক্স অফিসের আসল হিসেব আমি জানি, সংখ্যার খেলায় অনেকেই সুবিধা পায়…সংখ্যা সাজিয়ে দেয়!” বক্স অফিস কারসাজির ইঙ্গিত, অরিন্দম শীলের বিস্ফো’রক দাবি! ভুয়ো কালেকশন-খেলা নিয়ে উত্তাপ বাড়ল টলিউডে!

নতুন প্রেক্ষাপট আর উত্তেজনা নিয়ে, বড়দিনের মরসুমে আবারও রহস্যের গন্ধ নিয়ে ফিরল ‘মিতিন মাসি’ (Mitin Mashi)। অরিন্দম শীলের (Arindam Sil) পরিচালনায় তৈরি ‘মিতিন একটি খুনির সন্ধানে’ এবার শুধুই গোয়েন্দাগিরির গল্প নয়। এর ভেতর আছে মানুষের আবেগ, অপরাধের অন্ধকার পথ আর সত্যের সন্ধানে দৌড়। কোয়েল মল্লিক ফের সেই পরিচিত চরিত্রে, তবে এবার তার যাত্রা আরও পরিণত। আগের ছবির তুলনায় এই নতুন অধ্যায়টিকে অনেকেই ভিন্ন ঘরানার বলে মনে করছেন।

এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সাফল্য নিয়ে এবার সরাসরি মুখ খুলেছেন পরিচালক নিজেই। বড় পর্দায় ফিরে আসা নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুললেও তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তার কাজ শুধু তৈরি করা, ফলাফল দর্শকই বলবে। এর মধ্যেই যুক্ত হয়েছে বড়দিনে তিনটি বাংলা ছবির একসঙ্গে মুক্তির প্রসঙ্গ। ‘মিতিন’ ছাড়াও ‘প্রজাপতি টু’ এবং ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ মিলিয়ে উৎসবের বাজারে ছবির ভিড়। তবে তিনি একে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, একইসঙ্গে থাকা সুস্থ পরিবেশ বলেই দেখতে চান।

পরিচালকের কথায়, বাংলা ছবির আজকের অবস্থার মাঝে একটু সদর্থক পরিবর্তন এসেছে। সরকারি হস্তক্ষেপ, ইন্ডাস্ট্রির কমিটি গঠন থেকে শুরু করে প্রাইম টাইমে মাত্র তিনটি বাংলা ছবি মুক্তির নিয়ম, মিলিয়ে শৃঙ্খলার দিকে এগোচ্ছে ইন্ডাস্ট্রি। একাধিক বড় বাজেটের সঙ্গে লড়ে ছবি চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তার, তাই বর্তমান পরিস্থিতিকে তিনি বরং সহজ ভাবেই দেখছেন। তার বিশ্বাস, ভালো গল্প থাকলে দর্শক আপনিই হলমুখী হবেন।

তবে আলোচনার শেষে এসে বড় এক অভিযোগ তোলেন অরিন্দম শীল, বক্স অফিসের সংখ্যার খেলা নিয়ে! কোন ছবির কেমন ব্যবসা হল আর কেমন দেখিয়ে দেওয়া হল, এই দুইয়ের ব্যবধান তিনি নিজের চোখে বহুদিন দেখেছেন। তাঁর কথায়, “বক্স অফিসে কোন ছবির কেমন হাল হয়, সেইসব আমার জানা এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে সেইরকম হাল হওয়ার পরেও সেই ছবির বক্স অফিস কালেকশন কী বলে প্রচার করা হয়।

আবার সেটা প্রচার করার জন্য, কিছু নির্দিষ্ট সাংবাদিকরা আছেন অনেকের প্রিয় পাত্র, তারা এগুলো করেই থাকেন। এখন অনেক বয়স হয়ে গেছে তো, সবটাই বুঝি!” প্রচারের নামে সংখ্যার ‘খেলা’ চালানোর অভিযোগও তুলে দিলেন সরাসরি। বর্তমানে যেখানে একটি ছবি ফ্লপ হওয়ার দায়ে, অন্য ছবির উপরে চাপানো হচ্ছে। সেখানে এই বাস্তবধর্মী কণ্ঠস্বর, বছরখানেক নয় বরং বহু অভিজ্ঞতার ফল। এই বিষয়ে আপনাদের কী মতামত? জানাতে ভুলবেন না কিন্তু!

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page