সামনেই দুর্গাপুজো, আর দুর্গাপূজা মানেই বাঙালির মনে প্রেমের আনাগোনা। বহুদিন ধরে দুর্গাপুজোয় এমন অনেক নতুন সম্পর্কের সূচনা হয়েছে যা বছরের পর বছর মধুর স্মৃতি বহন করেছে। অভিনেত্রী থেকে সাধারণ মেয়েরা সকলেই চায় দুর্গাপুজোয় একটা পার্টনার। যার সাথে সারাটা জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখা যায়। আর তাই নিয়েই এবার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অরুনিমা ঘোষ নিজের ছোটবেলা থেকে বড় বেলা আর পুজোর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিল ক্যামেরার সামনে।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে অরুনিমা বলেন, ছোটবেলায় পূজা মন্ডপে হইচই করা, মজা করা, ক্যাপ বন্দুক নিয়ে বন্ধুদের পিছনে ছুটে বেড়ানো এবং ভাই বোন দাদা দিদিদের সাথে বসে পূজার ভোগ খাওয়া এইসব নিয়েই কেটে যেত দুর্গাপুজো। এছাড়া তার দাদুর সাথে ছোটবেলায় সাউথের দিকে প্রচুর পুজো মণ্ডপে ঠাকুর দেখে কাটিয়েছেন অভিনেত্রী। তাই তিনি বলেন যে ছোটবেলার পুজোর মধ্যে অনেক বেশি আনন্দ ছিল।
কিন্তু জীবন যতো এগিয়েছে যত বড় বেলায় পৌঁছেছে, সেটা পুজোর আনন্দকে অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে। এখন পুজোকাটে বেশিরভাগটাই বাড়িতে থেকে।
কিন্তু এত নিঃসঙ্গ তার সঙ্গে কেন কাটে অভিনেত্রীর জীবন! তা বলতে গেলে বলতে হয় অভিনেত্রী অনেকদিন হলোই অভিনয় জগতে রয়েছে তার বয়সও কিছু কম হলো না। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো মনের মানুষ খুঁজে পাননি অভিনেত্রী। ছোটবেলায় পুজোর প্রেমের কথা মনে করে তিনি বলেন একবার এক সাদা পাঞ্জাবি পরা দাদার প্রেমে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু স্বভাবে লাজুক হওয়ার জন্য তিনি তা মুখে প্রকাশ করতে পারেননি। তবে তার পরে বহুবার প্রেম এসেছে অভিনেত্রী জীবনে কিন্তু তা টেকেনি। তাই এবার অভিনেত্রী মা দুর্গার কাছে একটি ‘বর’ চাইছেন। তিনি আর সিঙ্গেল থাকতে চান না এবার একজন সঠিক জীবনসঙ্গী খুঁজে পেতে চান।
প্রসঙ্গত অভিনেত্রী অরুনিমা ঘোষ এখন অনেক ছবিতে অভিনয় করছেন। যথা সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায়ের ‘লেডি চ্যাটার্জি’।এছাড়া‘কীর্তন’, ও ‘মায়াকুমারি’ নামক ছবিতে তিনি কাজ করছেন। তবে তার কর্মজীবনে এতো ব্যস্ততার মধ্যেও ব্যক্তিগত জীবন খুবই নিঃসঙ্গ। তাই এবার দুর্গা পুজোয় মা দুর্গার কাছে নিজের নিঃসঙ্গতা কাটানোর প্রার্থনা করবেন অরুনিমা।