সামনেই দুর্গাপুজো। অনেকেই আছে নিজের বাড়িতে পুজো করে নিজের মতো করে। তাদের কাছে অষ্টমীর ভোগ রান্না খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং পূণ্য অর্জনের বিষয়। অনেকেই আছেন হয়তো এবার প্রথমবার ভোগ রান্না করতে চাইছেন নিজের হাতে। তাই তাদের সবার জন্য আমরা একটি সহজ রেসিপি নিয়ে এলাম যেটা পুজোর অষ্টমীতে কাজে লাগবে আপনাদের সকলের।
নানা ধরনের ভোগ রান্না করা হয় তবে মায়ের জন্য যে বিশেষ ভোগ রান্না করা হয় সেটা অত্যন্ত শুদ্ধভাবে রান্না করতে হয়। অনেকেই মনে করে তাতে কোন ত্রুটি রাখা যাবে না আয়োজনে, রান্নায় আর পরিবেশনে। চিন্তা করবেন না। ভোগ রান্না বিশাল ভয়ের নয়। তাইতো আপনাদের জন্য সহজ পদ্ধতিতে মায়ের ভোগ রান্নার রেসিপি দিয়ে দিলাম আমরা। যারা যারা প্রথমবার মায়ের জন্য নিজের হাতে রান্না করতে চলেছেন তাদেরকে বলে রাখি রান্না যেভাবেই হোক না কেন মনের পবিত্রতা এবং ভক্তিই আসল।
এই ভোগ রান্নার সাথে সাথে নিরামিষ অন্যান্য পদ রাখতে পারেন বাড়ির অন্যান্য সদস্য এবং আগত অতিথিদের জন্য। তার মধ্যে মায়ের ভোগের সঙ্গে আলুর দম বা পনিরের তরকারি কিংবা পাঁচমিশালি সবজির তরকারি খুব ভালো লাগে খেতে।
উপকরণ: গোবিন্দ ভোগ চাল-১ কাপ
কাজু-২৫ গ্রাম
কিসমিস-২৫ গ্রাম
ছোটো এলাচ-৬টি
লবঙ্গ-৬ টি
ঘি-২ চামচ
দারুচিনি- তিন টুকরো মাঝারী মাপের
গরম মসলা গুঁড়ো (দারুচিনি , লবঙ্গ, এলাচ , গোলমরিচ শুকনো কড়ায় ভেজে গুঁড়ো করে নেওয়া)
আদা কুচি-১ চামচ
হলুদ গুঁড়ো- ১ চামচ
চিনি-১ চামচ
সাদা তেল-১ চামচ
পদ্ধতি: গোবিন্দ ভোগ চাল ৩০ মিনিট জলে ভিজিয়ে নিয়ে জল ঝরিয়ে রেখে দেবেন। একটা পাত্রে এক চামচ সাদা তেল ও এক চামচ ঘি দিয়ে দেবেন।তাতে চারটে তেজপাতা দিয়ে কাজু, কিসমিস, ছোটো এলাচ গুলো দিয়ে দিন। ছোটো এলাচ একটু ফাটিয়ে দিয়ে দেবেন। একটু নাড়াচাড়া করে তাতে ভেজানো চাল দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে তাতে এক চামচ হলুদ গুঁড়ো মেশান। একটু নুন দিয়ে আবার নাড়ুন। এবার একটু চিনি ও গরম মসলা দিয়ে প্রায় তিন মিনিটের মতো চাপা দিয়ে রাখবেন। ২কাপ জল ঢেলে দেবেন। দশ মিনিট পর ঢাকনা খুলে খুব আসতে আসতে নাড়াচাড়া করে নেবেন। ব্যাস রেডি মায়ের ভোগ।