নতুন প্রজন্মের দর্শক এখন সোশ্যাল মিডিয়া, ছোট পর্দা আর রিয়েলিটি শোতেই খুঁজে পান তাঁদের প্রিয় মুখ। নাচ–গান–অভিনয়ের এই মিশ্র দুনিয়ায় যেসব তরুণ শিল্পীরা কঠোর পরিশ্রম করে নিজেদের জায়গা তৈরি করছেন, তাদের মধ্যেই অন্যতম আয়েশা ভট্টাচার্য। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরেছেন নিজের জীবনের কিছু অজানা অধ্যায়, যা অনেককেই চমকে দিয়েছে।
আয়েশা ভট্টাচার্য—ছোট পর্দার এক পরিচিত মুখ। ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে নজর রাখলে বোঝা যায়, তাঁর জীবনে অভিনয়ের পাশাপাশি নাচ এবং পরিবারের মানুষেরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে তাঁর মাকে প্রায়ই দেখা যায় আয়েশার সঙ্গে বিভিন্ন মজার ভিডিওতে। কাজের ক্ষেত্রে পরিশ্রমী এই অভিনেত্রী বাস্তব জীবনে অত্যন্ত সহজ-সরল, তা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট।
বিনোদন জগতে আয়েশার যাত্রা শুরু হয়েছিল ‘ডান্স বাংলার ডান্স’-এর মঞ্চ থেকে। নাচের দক্ষতা আর প্রাণবন্ত উপস্থিতি তাঁকে দ্রুত জনপ্রিয় করে তোলে। রিয়েলিটি শো থেকেই তিনি প্রথম সুযোগ পান ছোট পর্দায় অভিনয় করার। ধীরে ধীরে সেই সাফল্যের হাত ধরে বড় পর্দাতেও দেখা যায় তাঁকে। এই দীর্ঘ পথ চলায় তিনি নিজেকে পরিশ্রম ও প্রতিভার জোরে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তবে সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি যে কথাগুলো বলেছেন, সেগুলো শিল্পীজগতের বাস্তব চিত্রই তুলে ধরে। অনেকেই আয়েশা নাম শুনে তাঁকে ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করেন। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দেন—ভট্টাচার্য পদবিই তার উত্তর, তিনি হিন্দু বাঙালি পরিবারের মেয়ে। পাশাপাশি তিনি জানান, ইন্ডাস্ট্রিতে সবারই ধাক্কা খেতে হয়। দর্শকেরা মনে করেন তাঁর প্রতিভার তুলনায় কাজ পান না, এ বিষয়ে তিনি বলেন, “কাউকে গিয়ে যে বলবো কাজ থাকলে আমাকে জানাবে—এই কথাটা বলতে আমার লজ্জা লাগে।”
আরও পড়ুনঃ জিতু-দিতিপ্রিয়ার বিতর্কে উত্তেজনা ঊর্ধ্বমুখী, ৩ ঘণ্টার গোপন বৈঠক শেষে… কী ঘটল? মুখোমুখি হতেই কি মিলল সমাধান নাকি বাড়ল আরও জটিলতা?
বর্তমানে আয়েশা নিজের স্টুডিও সাজিয়ে তোলার কাজে ব্যস্ত। অভিনয়, নাচের পাশাপাশি নিজের জায়গা তৈরি করার এই লড়াই তাঁকে আরও শক্ত করে তুলছে। তাঁর স্বীকারোক্তি অনেক তরুণ শিল্পীকেই সাহস জোগাবে—ইন্ডাস্ট্রির পথ কঠিন হলেও নিজের বিশ্বাসে অটল থাকলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।
