জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ভারতীয় কিংবদন্তিকে অপমান বাংলাদেশের! স্মৃতি থেকে মুছে ফেলা হলো মহানায়িকাকে! ছাত্রীনিবাস থেকে সুচিত্রার নাম মুছে দিল ভারতবিরোধী ইউনুস প্রশাসন!

বাংলাদেশে (Bangladesh) হাসিনা সরকার বদলের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক মনোভাবের প্রতিফলন। ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে নতুন সরকারের ভারতবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি। বিপ্লবী ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে এই প্রশাসনের নানা সিদ্ধান্তে একাধিকবার ক্ষুব্ধ হয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলি। এবার সেই বিদ্বেষের ছায়া পড়ল কিংবদন্তি ভারতীয় অভিনেত্রী ‘সুচিত্রা সেনে’র (Mahanayika Suchitra Sen) স্মৃতিতেও।

পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের ছাত্রাবাস, যা এতদিন ধরে সুচিত্রা সেনের নামে পরিচিত ছিল, এবার তার নাম বদলে দিল ইউনুস সরকার! সুচিত্রা সেনের জন্মস্থানই ছিল বাংলাদেশ। পাবনার গোপালপুর এলাকায় তাঁর পৈতৃক ভিটে ছিল মহানায়িকার। ছোটবেলার অনেকটা সময় সেখানেই কেটেছে মহানায়িকার, বিয়ের পর কলকাতায় চলে এলেও তাঁর শিকড় ছিল বাংলাদেশের মাটিতে।

সেই আবেগ থেকেই পাবনার সরকারি কলেজের এক ছাত্রাবাসের নাম রাখা হয়েছিল ‘সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাস’। কিন্তু এবার সেই ইতিহাসকেও পাল্টে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান প্রশাসন। নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘জুলাই-৩৬ ছাত্রীনিবাস’। মঙ্গলবার এই পরিবর্তিত নামফলক কলেজ ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়, কিন্তু স্থানীয় অনেকেই এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ।

বিশেষ করে সুচিত্রা সেনের নাম মুছে দেওয়াকে অপমান হিসেবেই দেখছেন তাঁরা। একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী, যাঁর জীবনের শেকড় বাংলাদেশের মাটিতে, তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা নামটি এত সহজেই মুছে ফেলা নতুন প্রজন্মের কাছে ভুল বার্তা দিতে পারে বলে মত অনেকের। অনেকের বক্তব্য, রাজনৈতিক মতাদর্শ যাই হোক না কেন কিন্তু সংস্কৃতি নিয়ে এমন করা অনুচিত।

নাম পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে নতুন বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সুচিত্রা সেন শুধু একজন অভিনেত্রী নন, তিনি দুই বাংলার আবেগ। যাঁর শিকড় পাবনায়, আর আকাশছোঁয়া খ্যাতি এপার বাংলায়। এমন কিংবদন্তি ব্যক্তিত্বকে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে অপমান অসহনীয়। ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে যদি রাজনীতির পালাবদলে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়, তবে জাতির চেতনাতেও ফাটল তৈরি হয়।

Piya Chanda