টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র জগতে দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় করে মানুষের মন জিতে চলেছেন ‘রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়’ (Rahul Arunoday Banerjee) । এক সময়ের প্রেমিক নায়ক এখন আর তেমনভাবে চুমু বা রোম্যান্সে ডুবে থাকেন না! এমন কথা নিজেই খোলাখুলি ভাবে বলেছেন রাহুল। আন্তর্জাতিক চা দিবসে (International Tea Day) ফিরে গেলেন এক পুরনো সন্ধ্যায়, যেখানে এক কাপ চা আর প্রথম চুমুর (kiss) স্বাদ মিলেছিল একসাথে হঠাৎই। সেদিন লোডশেডিংয়ের অন্ধকারে মঞ্চে নাটকের নায়িকার ঠোঁটে প্রথম চুমু খেয়েছিলেন মাত্র ১৮ বছর বয়সী রাহুল।
চায়ের কাপের সাথেই যেন এক অন্যরকম অনুভূতির জন্ম নিয়েছিল সেদিন। এদিন এক সাক্ষাৎকারে রাহুল জানালেন, সেই সময় চা আর চুমু— এই দুই ‘চ’ তাঁকে সমানভাবে টানত। এখন বয়স যত বেড়েছে, চায়ের প্রতি ভালোবাসা ততটাই দৃঢ় হয়েছে। তবে চুমুর প্রতি আকর্ষণ এখন আর আগের মতো নেই। চুমু খাওয়ার মানুষটাই আজ খুঁজে পান না তিন। হয়তো অভিজ্ঞতার ভার কিংবা জীবনের ব্যস্ততায় আজ আর সে পুরনো রোমান্টিক রাহুল নেই।
তবে স্বীকার করতেও দ্বিধা করেনি যে, সেই প্রথম চুমুর পর থেকে অভিনেত্রীদের সঙ্গেই তিনি প্রেমে জড়িয়ে গেছে একে একে। রাহুলের মতে, বিনোদনের দুনিয়ার বাইরের মানুষের সঙ্গে কখনওই তেমন সংযোগ কখনওই তৈরি হয়নি। ছোট পর্দা, বড় পর্দা, থেকে মঞ্চ, সবেতেই অভিনয় করতে করতেই বেরে ওঠে সম্পর্কের সংখ্যা। আর সেই সব সম্পর্কেই মিশে গেছে চুমু, প্রেম আর আবেগের মুহূর্ত। তবে এখন তাঁর জীবনে রোম্যান্সের তুলনায় বাস্তবতা অনেক বেশি জায়গা করে নিয়েছে।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনুভূতিগুলোও যেন বদলেছে। তবুও কিছু আকাঙ্ক্ষা বেঁচে আছে মনে, যেগুলো সময়ের সঙ্গে ফিকে হয়নি। রাহুল এদিন স্পষ্ট জানালেন, আজও যদি কারও প্রতি গভীর চুমুর আকর্ষণ থাকে, তবে তা স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের জন্য! তাঁর সৌন্দর্য, ব্যক্তিত্ব রাহুলকে বরাবরই আকৃষ্ট করেছে। কখনও যদি সুযোগ আসে, তবে হয়তো তাঁকে জড়িয়ে একটা চুমু খাওয়া যেতেই পারে। পাশাপাশি সোহিনী সরকারের কথাও তুললেন রাহুল।
আরও পড়ুনঃ ভারতীয় কিংবদন্তিকে অপমান বাংলাদেশের! স্মৃতি থেকে মুছে ফেলা হলো মহানায়িকাকে! ছাত্রীনিবাস থেকে সুচিত্রার নাম মুছে দিল ভারতবিরোধী ইউনুস প্রশাসন!
বন্ধুত্বের জায়গা থেকে তাঁর প্রতিও রয়েছে এক অন্য টান। রাহুলের বলেন, আজকের দিনে ভালবাসার প্রকাশ অনেকটাই বদলে গেছে। এখন আর সেই কিশোর বয়সের চা-চুমুর সরলতা নেই, বরং রয়েছে দায়িত্ব এবং আবেগের বাস্তবতা। এখন ছেলের কপালে এক চুম্বনেই যেন সবটুকু শান্তি মেলে। চায়ের কাপ আজও যেমন রাহুলকে নেশায় বুঁদ করে রাখে, তেমনই জীবনের কিছু স্বপ্ন এখনও হৃদয়ে থেকে গেছে চুপিচুপি।