জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“এখন বোধহয় মৃত্যুই আমাদের একসাথে করতে পারে!” অত্যন্ত অল্প বয়সেই হারিয়েছেন স্বামীকে, জীবনের ‘অন্ধকার অধ্যায়’ এর কথা বললেন পৌষমিতা!

টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পৌষমিতা গোস্বামী (Poushmita Goswami) তাঁর অভিনয় দক্ষতা ও মিষ্টি স্বভাবের জন্য দর্শকদের মনে বিশেষ স্থান করে নিয়েছেন। ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora) ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক গভীর সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন, যা তাঁর ভক্তদের মর্মাহত করেছে। ২০২২ সালে পৌষমিতা বিয়ে করেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রির স্বনামধন্য এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার অর্ণব রায়কে (Arnab Roy)

তাঁদের বিবাহিত জীবন সুখের ছিল, কিন্তু এক বছরের মধ্যেই কিছু মতবিরোধের কারণে তাঁরা সাময়িকভাবে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তবে সেই বিভেদ মিটিয়ে পুনরায় একসঙ্গে থাকার উদ্যোগ নেওয়ার সময়েই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। ১০ জানুয়ারি ২০২৪ সালে অর্ণব রায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকস্মাৎ মারা যান। এই আকস্মিক ঘটনায় পৌষমিতা ভেঙে পড়লেও, নিজের মনের জোরে পরিস্থিতি সামলেছেন।

image 59

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পৌষমিতা তাঁর জীবনের ‘অন্ধকার অধ্যায়’ বলেছেন স্বামীর মৃত্যু। তিনি জানান, “ভালোবাসায় ছিলাম বলাটা ভুল হবে, এখনো আমি অর্ণবকে ততটাই ভালোবাসি। আমাদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ঠিক হয়ে গিয়েছিল, আবার একসঙ্গে থাকার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু ঠিক সেই সময় না ফেরার দেশে চলে গেল অর্ণব। এখন বোধহয় মৃত্যুই আমাদের একসঙ্গে করতে পারে।” এই কথাগুলোতে তাঁর গভীর বেদনা ও ভালোবাসার প্রকাশ স্পষ্ট।

স্বামীর মৃত্যুর মাত্র দু’দিন পরেই পৌষমিতা কাজে ফিরে আসেন। তিনি বলেন, “আমি জানি, আমার সঙ্গে ওঁর দেখা হবেই। তাই মনের জোর রাখতে পেরেছি। কাজেও যোগ দিয়েছি। কারণ, অর্ণব চাইত আমি কাজ নিয়ে থাকি। আমাদের একটি প্রযোজনা সংস্থাও ছিল। সেই কাজটা আমাকে একাকেই করতে হবে। না হলে পরপারে বকুনি খাব।” এই মনোভাব তাঁর পেশাদারিত্ব ও জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় বহন করে।এই বছর ১০ জানুয়ারিতে স্বামীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেন তিনি।

নিজের মানসিক কষ্ট নিয়ে তিনি বলেন, “সেই যে একটা মানসিক যন্ত্রণা, একসঙ্গে থাকতে চেয়েও আলাদা হয়ে যাওয়া… সম্পর্কটা এমন ভাবে ভাঙলো যে আর জোড়া লাগানো সম্ভবই না।” পৌষমিতা আরও জানান, অর্ণব তাঁর কাজে অত্যন্ত সিরিয়াস ছিলেন এবং প্রোডাকশন ডিজাইনে দক্ষ ছিলেন। স্বামীর স্মৃতিকে সঙ্গে নিয়ে এবং তাঁর ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে পৌষমিতা জীবনের পথে এগিয়ে চলেছেন। এই কঠিন সময়ে তাঁর মনের জোর ও পেশাদারিত্ব সত্যিই প্রশংসনীয়।

Piya Chanda