এক অবিশ্বাস্য মুহূর্তের দিকে এগিয়ে চলছে একটি ছবি, যেটি ইতিমধ্যেই সবার নজর কেড়েছে। কেউ জানেনি, কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে এমন কিছু ঘটেছে যা বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হতে চলেছে। সেরা ছবি বিভাগে জায়গা পাওয়া কি এত সহজ? না, তা তো নয়। তবে, কিছু ছবির গল্পই আলাদা হয়ে ওঠে, আর এই মুহূর্তে যেন সে গল্পই ভিন্ন পথে এগোচ্ছে।
এখনও অস্কারের (Oscar) সেই সেরা ছবির তালিকা নিয়ে রেশ কাটেনি, কিন্তু তাতে কোথায় যেন অনেক কিছু বদলাতে চলেছে। এই পথে চলছে এক ছবি, যা এখনও প্রতিযোগিতার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়েছে। তবে, কি ঘটছে? ছবির নাম কী? অস্কারের মহাসমারে কে এবার বাংলা সিনেমার পতাকা তুলে দেবে, তা জানার জন্য অপেক্ষা করছে অনেক দর্শক।
তবে, এই রহস্যের পর্দা উঠতেই সামনে এল বড় খবর। ইন্দিরা ধর পরিচালিত বাংলা ছবি ‘পুতুল’ এবার ‘বেস্ট পিকচার’ বিভাগে অস্কারের দৌড়ে স্থান পেয়েছে। অস্কারের ‘দ্য অ্যাকাডেমি অফ মোশন পিকচার্স অ্যান্ড সায়েন্সেস’-এর তরফে সম্প্রতি যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে জায়গা করে নিয়েছে এই ছবি। ‘পুতুল’ এই প্রথম বাংলা ছবির মধ্যে অস্কারের ‘বেস্ট পিকচার’ বিভাগে জায়গা করে নিতে চলেছে।
অস্কার কমিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পরিচালক ইন্দিরা ধর ইটিভি ভারতকে জানিয়েছেন, “এটা আমার জন্য খুবই গর্বের বিষয়। আমি কৃতজ্ঞ যে আমার ছবি, আমার পরিচালনা এবং লেখাকে অস্কার কমিটি পছন্দ করেছে। ‘বেস্ট পিকচার’ ক্যাটাগরিতে সিলেক্ট হওয়া, এটা আমার জন্য এক বিরাট সাফল্য।” তিনি আরও বলেন, “এটা শুধু আমার জন্য নয়, বাংলা সিনেমার জন্যও বড় সাফল্য। ‘পুতুল’ ছবি একটা বিশেষ জায়গা দখল করল, আর অস্কারের মতো এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে এর স্বীকৃতি পাওয়া, আমার কাছে অত্যন্ত আনন্দের।”
আরও পড়ুনঃ কৌশাম্বীকে বিয়ের পর অন্য নায়িকার সঙ্গে এক খাটে রোম্যান্সে মত্ত আদৃত!
এবার পুরো ছবি নিয়ে একটু বিশদে জানানো যাক। এই বছর মোট 323টি ছবি অস্কারের যোগ্য হিসেবে মনোনীত হয়েছে, যার মধ্যে 207টি ছবি রয়েছে ‘বেস্ট পিকচার’ ক্যাটাগরির জন্য। সেই তালিকাতেই স্থান পেয়ে ‘পুতুল’ এখন সবার নজর কেড়েছে। আগামী 8 জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ছবির নির্বাচন, যা চলবে 12 জানুয়ারি পর্যন্ত। তবে, এর আগেও এই ছবি অস্কারে মনোনীত হয়েছিল, বিশেষত এর গান ‘ইতি মা’ ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। যদিও সেই গান টপ 15-এ জায়গা না পেলেও, পরিচালক ইন্দিরা ধর দাবি করেছিলেন যে, ‘ইতি মা’র অস্কারের মঞ্চে পৌঁছানো একটা বড় প্রাপ্তি ছিল।
এই অর্জন নিয়ে অনেকেই বাংলা সিনেমার জয় হিসেবেই দেখছেন। তবে, একথা নিশ্চিত যে, এই প্রাপ্তি বাংলার সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে।