গত বছর বড়দিনের দিন মুক্তি পায় অতনু রায় চৌধুরী প্রযোজিত সিনেমা ‘ প্রজাপতি ‘। এই সিনেমা নিয়ে বাংলায় এক দফা সমালোচনা হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক কারণেই হোক বা ব্যক্তিগত বচসার কারণে দেব থাকা সত্বেও সিনেমাটি নন্দনে স্ক্রিনিং পায়নি।
এদিকে একের পর এক তৃণমূল নেতা কটাক্ষ করে গিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তীর অভিনয়কে। কিন্তু নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে প্রজাপতির সাকসেস পার্টিতে ব্যস্ত ছিল টিম। যে কটি হলে প্রজাপতি স্ক্রিনিং হয়েছে প্রত্যেকটি হাউসফুল ছিল।
এমনকী এখনও বেশ ফুল দমে চলছে প্রজাপতি। কিন্তু কাল হল পাঠান রিলিজের পর থেকে। আগামী বুধবার পাঠান রিলিজ হওয়ার কথা। আর মুম্বই থেকে নির্দেশ এসেছে পাঠান শুধুমাত্র সিঙ্গেল স্ক্রিনে স্ক্রিনিং হবে।
এতে স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত হল মালিকদের। পাঠান একটি বড় বাজেটের ছবি। আর এটি যে বাংলাসহ ভারতের বিভিন্নপ্রান্তে ফাটিয়ে ব্যবসা করবে সেই আশা প্রত্যেকেই রাখছে। হল কর্তৃপক্ষ এই ফ্যাসাদে পড়েছে।
কিন্তু ইতিমধ্যেই প্রিয়া হল প্রজাপতি তুলে নিয়েছে। এমনকী বেশ কিছু হলে পর পর পাঁচটি শো টাইম রাখা হয়েছে শুধু পাঠানের। শুধু প্রজাপতি নয়, পাশাপাশি সদ্য রিলিজ হওয়া কাবেরী অন্তর্ধান’, ‘দিলখুশ’, ‘ডঃ বক্সি’ এর মতো সিনেমাগুলিরও হাল বেহাল।
এই সময় মুম্বইয়ের বিজনেস স্ট্রাটেজিতে ও বহু হল মালিকের ওপর ক্ষুব্ধ প্রজাপতির প্রযোজক অতনু রায় চৌধুরী। বাকি হলের মালিকরা প্রতিবাদ করতে গেলে মুম্বই থেকে জানানো হচ্ছে, ‘ প্রিয়া হল যদি পারে তাহলে বাকি হলের পক্ষেও সম্ভব ‘।
কার্যত ফেসবুকে বাংলা সিনেমা নিয়ে প্রায়শই লম্বা লম্বা প্যারাগ্রাফ লিখতে দেখা যায়। ‘ বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ান ‘ নতুন ট্রেন্ডিং টপিক। কিন্তু বাংলার সিনেমা কমিউনিটির হালই যদি এরকম হয় তাহলে কীকরেই বা পাশে দাঁড়াবেন দর্শকরা? সরকার এখনও এই বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করেননি।