একের পর এক ধারাবাহিক দর্শকদের কাছে উপহার দিচ্ছে ‘জি বাংলা’। তবে এখন আর আগের মতো ধারাবাহিকগুলি বছরের পর বছর চলে না। এরফলে একটা ধারাবাহিকের বদলে আসে নতুন ধারাবাহিক। একদিকে কিছু দর্শকদের এটি পছন্দের হয়, কারণ তারা নতুন নতুন গল্প পায়। অন্যদিকে কিছু দর্শক এটিকে খারাপ চোখে দেখে। জি বাংলার কিছু জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল, যেমন মিঠাই, উমা, লক্ষি কাকিমা সুপারস্টার, পিলু, নিম ফুলের মধু, প্রভৃতি। এরমধ্যে মিঠাই ধারাবাহিকের বয়সটা যদিও অনেকটাই। পাশাপাশি লক্ষি কাকিমা সুপারস্টার ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। এর বদলে এসেছে এক নতুন ধারাবাহিক।
দর্শকদের কাছে যেমন ধারাবাহিকের ভালোটা চোখে পরে ঠিক তেমন ছোটোখাটো ভুল ত্রুটিও কিন্তু ভালোভাবেই নজরে আসে। আর সেগুলি নিয়েই শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা। প্রায় দিনই কোনো না কোনো তারকা ট্রোল হতে থাকে। যদিও এতে তারকাদের কোনও সমস্যা নেই কারণ তাদের মতে যত ট্রোল হবো, যত চর্চা হবে তত বোঝা যাবে চরিত্রগুলি ফুটে উঠছে দর্শকদের কাছে। এটা একদিকে শিল্পীদের গর্বের কথা।
এবার সামনে এল এক হাস্যকর জিনিস। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পেজে একজন নেটাগরিক লিখেছেন, “জি কাকুর মাথামুন্ডু কিছুই বুঝতে পারি না আমি। ‘নিম ফুলের মধু’তে কিপটে দত্ত বাড়িতেও কাজের মেয়ে আছে,, আর ‘মিঠাই’তে মোদক বাড়িতে একটাও কাজের লোক নেই,,, এদিকে খেলনা বাড়ির লাহেরি বাড়িতে ২ টা কাজের লোক আছে ওখান থেকে একটা এনে মোদকদের দিলেই পারতো কিপটে জি”।
এটা সত্যি যে আমরাও দেখেছি পরিচালক অনেকসময় এমন কিছু দর্শকদের সামনে রাখে যা দেখে ভিত্তিহীন বলে মনে হয়। যেমন মিঠাই-তে কাজের লোক নেই, আবার দত্তবাড়ির অবস্থা তেমন ভালো না হওয়া সত্বেও কাজের লোক আছে। তবে কি মিঠাইতে কাজের লোকের জন মুখের অভাব রয়েছে? নাকি পরিচালকের মাথায় অন্যকিছু চলছে।
যদিও কাজের লোক রাখা র না রাখা জসেটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। টাকা থাকলেই যে রাখতে হবে এমন কোনও কারণ নেই। তবে এক্ষেত্রে পরিচালক এমন কেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানা নেই। কিন্তু এই পোস্টের অনেকেই কম্যেন্ট করেছেন। কেউ লিখেছেন ‘তাতে আপনার কি?’ আবার কেউ লিখেছেন ‘এক মত’।