জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

শনিবার শুধু নিরামিষ খেলেই হবে না! শনিদেবকে তুষ্ট রাখতে কি পরামর্শ দিলেন অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়?

শনির ভয়ে অনেকেই শনিবারে নিরামিষ খান, মন্দিরে পুজো দেন, কালো পোশাক এড়িয়ে চলেন। কিন্তু প্রশ্ন একটাই— এ কি সত্যিই যথেষ্ট? বৈদিক বিশ্বাসে শনিদেব ন্যায়ের দেবতা। শুধু বাহ্যিক আচরণ নয়, মনের দিক থেকেও নিজেকে সংযত রাখার পরামর্শ দেন জ্যোতিষশাস্ত্রবিদরা। আর এই মতেই বিশ্বাসী অভিনেতা-লেখক ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। নিজের জীবনেই সেই শিক্ষা কাজে লাগিয়েছেন তিনি।

ভাস্বর একসময় শনির সাড়ে সাতি দশার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। প্রায় সাত বছর টানা একাধিক সমস্যার মুখে পড়েছিলেন তিনি। তবে সেই সময় তিনি নিজেকে গুটিয়ে না নিয়ে বরং কিছু কঠিন নিয়ম পালন শুরু করেন। তার মধ্যে ছিল নিরামিষ আহার, নির্দিষ্ট কিছু রঙ বা উপকরণ এড়িয়ে চলা এবং নিজের আচরণে সংযম রাখা। অভিনেতা জানিয়েছেন, সেই সময় থেকেই নিজের জীবনে পরিবর্তন লক্ষ্য করতে শুরু করেন।

ভাস্বরের কথায়, “শনিবার নিরামিষ খাচ্ছি, কিন্তু মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছি— এতে শনিদেব খুশি হওয়ার বদলে উল্টে আরও রুষ্ট হবেন।” তাই শুধুই বাহ্যিক আচারে আটকে না থেকে, নিজেকে সংযত রাখাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। তর্কাতর্কি এড়িয়ে চলা, অকারণে কাউকে কষ্ট না দেওয়া, এবং যতটা সম্ভব দুঃস্থদের সাহায্য করার চেষ্টা— এইসব বিষয়গুলিকে তিনি শনিদেবকে তুষ্ট করার অন্যতম পথ বলে মনে করেন।

ভাস্বর এখনও শনিবার নিরামিষ খান। পরেন না কালো রঙের পোশাক। এমনকি কালো রঙের গাড়িতেও উঠতে চান না। যদিও তিনি কখনও শনিদেবের মন্দিরে গিয়ে পুজো দেননি, তবুও তাঁর বিশ্বাস, সৎ পথে চললেই শনিদেব সন্তুষ্ট হন। পুজো বা দান নয়, মানুষ হিসেবে ভাল থাকা— সেটাই তাঁর কাছে আসল সাধনা।

জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, ১৩ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে শনির বক্রী দশা। এই সময় চলবে নভেম্বর পর্যন্ত। বহু মানুষের কুণ্ডলীতে শনির প্রভাব বাড়বে এই সময়ে। ফলে মন, শরীর, কর্মজীবন সব দিকেই চাপ অনুভব হতে পারে। এই সময় নিজেকে সংযত রাখা, সৎপথে চলা এবং সদ্ব্যবহার করাই শ্রেয়— এমনটাই মত জ্যোতিষীদের।

Piya Chanda