জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘ও খুব ছোট, খুবই মিষ্টি মানুষ, ওর সঙ্গে কারও মনোমালিন্য হতে পারে না’,দিতিপ্রিয়ার বিদায়ে সেটজুড়ে শূন্যতা! ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর সেটে মনখারাপের ছায়া

হাসি, আড্ডা, লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন — সবই আগের মতো চলছে, কিন্তু তবু যেন কিছু নেই। আসলে, নেই দিতিপ্রিয়া রায়। হঠাৎ করেই ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর শুটিং সেট থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনি। আর তার পর থেকেই কাজের ফাঁকে অভিনেতাদের চোখে জল আর মনখারাপ। যেন চরিত্রের বাইরে বাস্তবেও হারিয়ে গেছে কেউ।

সেটের অনেকের কাছেই এখনও যেন বিশ্বাস করা কঠিন দিতিপ্রিয়ার বিদায়। সহ-অভিনেতা অভ্রজিৎ চক্রবর্তী, যিনি সিরিয়ালে ‘কিঙ্কর’, জানালেন—“ও খুব ছোট, খুবই মিষ্টি মানুষ। ওর সঙ্গে কারও মনোমালিন্য হতে পারে না। কিন্তু আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য, ব্যক্তিগত জীবনে অযথা নাক গলানো—এসবই অনেক সময় বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।” তাঁর কথাতেই স্পষ্ট, সম্পর্ক ভালো থাকলেও পরিস্থিতি অনেক সময় মানুষকে দূরে ঠেলে দেয়।

পর্দার ‘মা’ সুচন্দ্রা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নিজের আবেগ লুকোতে পারেননি। তাঁর গলায় আক্ষেপ আর মায়া—“জানেন, দিতির ছোট্ট কুকুরগুলো এখনও ওর রুমে গিয়ে শুয়ে থাকে। মনে হয় ওদেরও ওকে খুঁজছে।” কথার শেষে যোগ করলেন — “নতুন কেউ এলে কাজ চলবে ঠিকই, কিন্তু দিতিপ্রিয়ার জায়গা সহজে পূরণ হবে না।”

শুধু অভিনেতারা নয়, প্রযুক্তি কর্মী থেকে মেকআপ আর্টিস্ট — সবার মনে একই প্রশ্ন, নায়িকা বদলানো যায়, কিন্তু সম্পর্ক কি বদলায়? পর্দার ‘সন্তু’ তন্ময় মজুমদারের কথায়—“বন্ধু চলে গেছে। নতুন অভিনেতা আসবে, দৃশ্য শুট হবে, কিন্তু দিতিপ্রিয়াকে ভুলতে পারব না।”

এখন অপেক্ষা নতুন অধ্যায়ের। গল্প এগোবে, চরিত্র ফিরবে, দর্শক দেখবে। কিন্তু বাস্তবের স্মৃতি কি সত্যিই গল্পের মতো বদলে যায়? হয়তো না। তাই দিতিপ্রিয়া না থাকলেও, তিনি রয়ে গেছেন সবার মনে, বন্ধুত্বের স্মৃতিতে এবং সেটজুড়ে সেই অদৃশ্য শূন্যতায়।

Piya Chanda