জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“ধন্যবাদ জানাই আমাদের পারিশ্রমিক না দিয়ে এত বড় একটা সামাজিক সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।”— ‘দুর্গাপুর জংশন’-এর সহ পরিচালক মধুবন্তী মুখার্জীর বিস্ফোরক অভিযোগ! মধুবন্তীর কথায় উঠে এলো টলিউডের অন্ধকার দিক!

টলিউড (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থা যেন এক দুর্বোধ্য বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে “দুর্গাপুর জংশন” (Durgapur Junction) -এর মতো ছবির রিলিজ একাধারে সাহসিকতা এবং অদক্ষতার এক অদ্ভুত মিশ্রণ বলে মনে করছেন খোদ ছবির সহ পরিচালক! ছবির সহ পরিচালক ‘মধুবন্তী মুখার্জী’ (Madhubanti Mukherjee) সমাজ মাধ্যমে এক পোষ্টে এই সত্যকে আরেকবার প্রমাণ করে দিয়েছে। ছবির সহ-পরিচালক হিসেবে তিনি যে অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন, তা যেন টলিউডের এক অন্ধকার দিকের কথা বলে, যেখানে শিল্পীদের কাজের মূল্যও হয় না!

এদিন তাঁর কথায় উঠে এলো ইন্ডাস্ট্রির উদাসীনতা, কাজ না করার প্রবণতা এবং অদক্ষ লোকেদের ভীড় এর কথা। তিনি বলেন, “আজকাল টলিউডের যা অবস্থা, সেখানে একটা সিনেমা রিলিজ করলেই যেন একটা দুঃসাহসিক অভিযান সফল হল বলা চলে। আমাদের দিগন্তজয়ী “দুর্গাপুর জংশন” সিনেমার জন্য একরাশ কৃতজ্ঞতা জানাই সেই একমাত্র মানুষটিকে, যিনি অদক্ষতার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন আমাদের প্রিয় পরিচালক। তাঁর অর্ধেক রান্না করা চিত্রনাট্যের কল্যাণে আমরা প্রত্যেকে নিজের নিজের ঘাম ঝরিয়ে একটু-আধটু বুদ্ধির ব্যবহার করে শেষমেশ সিনেমাটাকে কিছুটা দাঁড় করাতে পেরেছি।

ধন্যবাদ জানাই তাঁর অতুলনীয় ঢিলেমির জন্য। যদি তিনি সংলাপে এত উদার না হতেন, তাহলে আমাদের অভিনেতারা নিজেদের সংলাপ লেখার প্রতিভা আবিষ্কার করতে পারত না। বিশেষ করে ক্লাইম্যাক্সের সময়কার সংলাপ তো আসলেই একটা কবিতা হয়ে উঠেছিল— শুনলে হেসে কেঁদে ফেলার জোগাড়!” তিনি আরো বলেন, “টলিউডের এখনকার হালচাল দেখে বুঝি, ভালো-মন্দ-খারাপ কোনও তফাৎ নেই। আমরা সবাই একত্রে মেনে নিচ্ছি— যে যা পারো করো, কেউ তো আর দেখতে আসছেই না!

তাই আমার মতন সাহসী সৈনিকদের ধন্যবাদ, যাঁরা একাধিক ভূমিকা পালন করে (ডিওপি, স্ক্রিপ্ট রাইটার, কাস্টিং ডিরেক্টর, প্রোডাকশন ডিজাইনার, এমনকি অভিনেতাও!) সিনেমাটাকে টিকিয়ে রেখেছেন।বিশেষ কৃতজ্ঞতা তুষারদা ও তাঁর টিমকে, যাঁরা ছবির শেষ খুঁটি হয়ে দাঁড়িয়েছেন। নাহলে এই ছবির নামের আগে “অসম্পূর্ণ” শব্দটা লাগিয়ে রিলিজ করতে হত। শেষে তিনি পারিশ্রমিক না মেলার অভিযোগ তুলে বলেন, “ধন্যবাদ জানাই আমাদের পারিশ্রমিক না দিয়ে এত বড় একটা সামাজিক সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

টাকা না পেলেও সমাজ মাধ্যমে দু-চারটে কথা শোনানোর আনন্দটুকু তো পেলাম!” তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, মধুবন্তীর মতো একজন শিল্পী যখন সমাজ মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেন যে টাকা না পেয়ে কাজ করেছেন, তখন এর মানে, টলিউডে পুরস্কৃত হওয়ার বদলে পরিশ্রমের মূল্যটাই প্রায় শূন্য। যদি শিল্পীদের পারিশ্রমিক না দেওয়া হয়, তাহলে কি আমরা আশা করতে পারি যে, এই ইন্ডাস্ট্রি মেধা এবং দক্ষতার মর্যাদা দেবে? মধুবন্তীর অভিজ্ঞতা যে শুধু তার নিজের নয়, বরং শত শত শিল্পীর দুর্দশার কথা।

Piya Chanda