জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

গায়ের রং কালো থেকে দাঁতের গড়ন, সবকিছুর জন্যই তাকে কটাক্ষ করেছে মানুষ! ইচ্ছে শক্তিকে সম্বল করে আজ জীবনে দারুণ সফল শ্রুতি!

বাংলার ঘরে প্রায় প্রতিটা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েরা চায় পড়াশোনা করে শিক্ষিত হয়ে সৎ পথে অর্থ উপার্জন করতে। তাদের মধ্যে হতে চাই কেউ ডাক্তার, কেউবা ইঞ্জিনিয়ার, কেউবা যেতে চায় অভিনয় জগতে। নিজেরা মধ্যবিত্ত হলেও স্বপ্ন হয় তাঁদের আকাশ ছোঁয়া। বর্তমানে বিনোদন জগতে এমনই এক অভিনেত্রীর পরিচয় পাওয়া গেছে যিনি কিনা সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। শ্রুতি দাস (Shruti Das), টেলিভিশন জগতে অত্যন্ত পরিচিত মুখ।

অভিনেত্রী শ্রুতির ‘ত্রিনয়নী’ সিরিয়ালের মাধ্যমে শুরু অভিনয় জীবনের পথচলা। সোশ্যাল মিডিয়ার পডকাস্ট চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ছোটবেলার থেকে শুরু করে অভিনয় জগতে যাত্রা সবটাই দর্শকদের সঙ্গে ভাগ করে শ্রুতি। অভিনেত্রী শ্রুতির জীবনে আজকের এই ঝলমলে দিনটা একদিনে পাইনি, বহু সংগ্রাম বাধা পেরিয়ে এসেছে এই দিনে।

shruti das

গায়ের রং কালো বলে সেই সমালোচনা শোনা থেকে শুরু করে নিজের বরকে ব্যবহার করে কাজ পাওয়া সবই শুনতে হয় অভিনেত্রীকে। অভিনেত্রী তাঁর বাবার আসল পরিচয় যখন জানতে পারে যে তাঁর বাবা মাসে ২০০০টাকা আয় করে কিন্তু সেই অভাবের প্রভাব কখনই শ্রুতিকে বুঝতে দেয়নি তাঁর বাবা। উপড়ন্ত তাঁর বাবাকে শুনতে হয় “তোমার যে অভাব সেটা তোমার মেয়ের পোশাক-আশাক দেখে বোঝা যায় না।”

অভাবের জন্য ক্লাস ১১-এ নিতে পারেনি সাইন্স। বাড়ি কাটোয়ায় হলেও উচ্চশিক্ষা করে কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে। নিজের গায়ের রংয়ের কথা উঠতেই বলেন, “আমি যেমন সেইরকমটাতেই খুশি এবং এটায় কারোর কোনো হাত নেই”। কথায় কথায় বলেন “সবে মাত্র তিন বছর হয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রিতে”। অভিনেত্রী এও বলেন, “যারা যারা ভাবেন আমি আমার বয়ফ্রেন্ড কে ইউজ করে কাজ পাচ্ছি। এই কিন্তু আমাকে কাটোয়া থেকে কলকাতাতে আনেনি”। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্পষ্টতা এবং দৃঢ়তার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন নিজের মনের কথা। এই সাক্ষাৎকার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া মাত্রই দর্শকদের থেকে বহু প্রশংসা পেয়েছে।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।

                 

You cannot copy content of this page