এই গায়কের কণ্ঠের ভক্ত দেশ ছাড়িয়ে রয়েছে। বিদেশেও। জিয়াগঞ্জের অরিজিৎ যেমন লাইমলাইট পেয়েছেন, সঙ্গে এসে জুড়ে বসেছে একটি বিতর্ক। যদিও এই বিতর্ক নিয়ে কোনদিন মুখ খোলেননি গায়ক। আসলে অহমিকা থেকে শুরু করে কোন বিতর্ক কোন কিছুই তাকে স্পর্শ করতে পারেনা সেটা গায়ককে দেখলেই বোঝা যায়।
তবে অরিজিতের জীবনের প্রথম মঞ্চ থেকেই শুরু হয়েছিল এই বিতর্ক। সে বিতর্ক আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল চারিদিকে মুহূর্তের মধ্যে। ওই মঞ্চের এক প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রেম করছেন গায়ক এমনটাই শোনা গেছিল। পরবর্তীকালে ছড়িয়ে পড়ে যে সেই প্রতিযোগীর সঙ্গেই বিয়ে করেছেন তিনি।
কে সেই প্রতিযোগী? তিনি হলেন আগরপাড়ার গায়িকা রূপরেখা ব্যানার্জি। বর্তমানে যদিও কলকাতায় থাকেন তিনি। বহুবার এই গল্প শোনা গেছে যে রূপরেখা হলেন প্রথম পক্ষের স্ত্রী। ফেম গুরুকুলের বিজেতা এই বিখ্যাত গায়িকার সঙ্গেই নাকি সম্পর্ক তৈরি হয় এবং সেখান থেকে বিয়ে হয়ে যায়। তারপরে বিচ্ছেদ হয়ে যায় এবং বর্তমানে স্ত্রী কোয়েলের সঙ্গে সুখের সংসার করছেন অরিজিৎ দুই ছেলেকে নিয়ে।
অরিজিৎ এই নিয়ে কিছু না বললেও মুখ খুলেছেন গায়িকা। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এই বিষয়ে সমস্ত কিছু স্পষ্ট করে দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই দেখছি অরিজিতের সঙ্গে আমার নাম জড়ানো হচ্ছে। প্রথমে গুরুত্ব দিইনি। কারণ সেলেবদের সঙ্গে বিষয়টি ঘটেই থাকে। কিন্তু, তা দিন প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। অরিজিৎ এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম সেরা গায়ক। আমিও ওঁর গানের ফ্যান। অরিজিৎ প্রথমে কাকে বিয়ে করেছিল তা জানার প্রয়োজনীয়তা আমার নেই। কারণ তা একেবারে তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু, আমি ওঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী নই। আমি কলকাতায় বিয়ে করেছি ২০১০ সালে, এটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন রূপরেখা। পাশাপাশি তার আসল স্বামীকে সে নামটাও সেখানে তিনি প্রকাশ করেছিলেন।
যদি ওই ঘটনার পর গায়িকাকে খুব বেশি দেখা যায় না। তার মিষ্টি কন্ঠের ভক্ত হয়েছিলেন বহু মানুষ। তারপর গতবছর তিনি একটি গান আপলোড করেছিলেন ইউটিউবে। তবে প্লেব্যাক সিঙ্গিং হিসেবে খুব বেশি তার নাম শোনা যায় না। তিনি কোথায় আছেন বা কী করছেন সেই বিষয়ে কেউ জানে না।