জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“ইন্ডাস্ট্রিতে একমাত্র জিৎ জানে কিভাবে বন্ধুত্ব রাখতে হয়” — অকপট স্বীকারোক্তি অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা উপেন্দ্রর! কিসের ভিত্তিতে এত বছর পরেও এমন দৃঢ় বিশ্বাস অভিনেত্রীর? বন্ধুত্বের গভীরতা না কি টলিউডের অদেখা সম্পর্কের সমীকরণ—কোন সত্যি তুলে ধরতে চাইলেন অভিনেত্রী?

টলিউডের রঙিন দুনিয়ায় ক্যামেরার সামনে যতটা আলো থাকে, ক্যামেরার পেছনের গল্প ততটাই অজানা থেকে যায়। এক ছবির শুটিং থেকে শুরু হওয়া বন্ধুত্ব বহু সময়ে রুপালি পর্দার গ্ল্যামারের বাইরেও অন্য অর্থ খুঁজে পায়। শিল্পীদের ব্যস্ত শিডিউল, নতুন চরিত্রের প্রস্তুতি আর প্রতিদিনের আলো–আঁধারির মাঝেও এমন কিছু সম্পর্ক থেকে যায়, যেগুলো সময়ের সঙ্গে আরও পরিণত হয়।

টলিউডের সুপারস্টারদের তালিকা করলে জিৎ-এর নাম প্রথম সারিতেই থাকবেই। দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা সিনেমাকে যেমন তিনি বাণিজ্যিক সাফল্য দিয়েছেন, তেমনই দিয়েছেন দর্শকের অগাধ ভালোবাসা। অ্যাকশন, রোমান্স বা পারিবারিক গল্প—সব ক্ষেত্রেই তার পর্দার উপস্থিতি এখনও দর্শককে হলে টেনে আনে। জনপ্রিয়তায় কখনও ভাঁটা পড়েনি, বরং নতুন প্রজন্মের কাছেও ‘জিৎ’ নামটাই নিজেই একটি ব্র্যান্ড।

‘সাথী’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করার পর থেকেই জিৎ এবং প্রিয়াঙ্কার বন্ধুত্ব নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। ছবিটি তাঁদের দু’জনের ক্যারিয়ারের মোড় ঘোরানো মুহূর্ত হলেও ব্যক্তিগত সম্পর্কে কোনও পরিবর্তন আনেনি। বরং সেটাই ছিল এক মধুর বন্ধুত্বের শুরু। এত বছর পরেও সেই বন্ধন ঠিক একই রকম রয়েছে বলে জানালেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা—বন্ধুত্ব ফিকে তো হয়ইনি, বরং আরও গভীর হয়েছে।

প্রিয়াঙ্কার কথায়, ইন্ডাস্ট্রিতে এমন মানুষ খুব কমই আছেন যারা জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেও সম্পর্কের মূল্য বুঝতে জানেন। জিৎ সেই বিরলদের একজন। কম কথা বলে, সম্পর্ক নষ্ট না করে, এবং নিজের জায়গা থেকে সবসময় সম্মান দিয়ে—এভাবেই তিনি বন্ধুত্ব ধরে রাখেন। তাই একটি মাত্র ছবিতে কাজ করেও এত দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে।

অভিনেত্রীর স্বীকারোক্তি পরিষ্কার—এত বছরের সম্পর্কেও কোনও দূরত্ব নয়, বরং আরও গভীরতা এসেছে। “যে মানুষটা সম্পর্ক রাখতে জানে, তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় না,” এমনটাই বললেন প্রিয়াঙ্কা। কাজের ভিন্নতা, ব্যস্ততা কিংবা পথ আলাদা হয়ে যাওয়া—কোনও কিছুই এই সম্পর্কের শক্তি কমাতে পারেনি। বরং ‘সাথী’-র সময়কার সেই সহজ বন্ধুত্ব আজও একই উষ্ণতায় রয়ে গেছে।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page