জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

৩০ বছর পার! ১৯শে এপ্রিল একটা তারিখ নয়, সম্পর্কের সমীকরণ এঁকে দেওয়া জাতীয় পুরস্কার জয়ী সিনেমাও বটে! আপনাকে মনে পড়ে ঋতুপর্ণ ঘোষ

১৯শে এপ্রিল By Rituporno Ghosh: আজ মঙ্গলবার। উনিশে এপ্রিল (Unishe April) । গড়পড়তা বাঙালির জীবনে কয়েকটা তারিখ একেবারে আনকোরা। পঁচিশে বৈশাখ, বাইশে শ্রাবণের মতো ১৯শে এপ্রিল (19 April)। তারিখটা বাস্তব-অবাস্তব মিলিয়ে একটা মিথের মতো। জাতীয় পুরস্কার জয়ী সিনেমা এই বছর পা দিল ত্রিশে।

নব্বইয়ের দশকে যখন কমার্শিয়াল সিনেমার দৌলতে বাঙালি দুঃখে-অভিমানে মাথা চাপড়াচ্ছে, তখন পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের (Rituporno Ghosh) ‘উনিশে এপ্রিল’ এনেছিল নতুনত্বের হাওয়া। রুপোলি পর্দায় ভেসে উঠেছিল সম্পর্কের দোটানা আর না পাওয়ার গল্প।

ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘উনিশে এপ্রিল’ আর্ট ফিল্ম না কমার্শিয়াল-এ নিয়ে দ্বন্দ্ব বিস্তর। সিনেমা দেখানোর শিল্পে অদ্ভুত বুনোট বেঁধেছিলেন কিংবদন্তী পরিচালক। সরোজিনী, অদিতি, সুদীপ, মণীশ আর সোমনাথের চরিত্রগুলো যেন অপমর বাঙালির বাড়ির লোক। ছবিতে নজর কাড়বে অপর্ণা সেন (Aparna Sen)দেবশ্রী রায়ের (Debashree Roy) জুটি। বাংলা সিনেমার ইতিহাস এরূপ মা-মেয়ে মেলবন্ধনের খুব একটা বেশি উদাহরণ নেই বাংলা সিনেমার ইতিহাসে।

শ্যাওলা হয়ে যাওয়া পিতৃতন্ত্র আর নিঃশব্দ চাহনির বদলে যাওয়া কথার ভাষা পর্দায় নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন ঋতুপর্ণ সেন। এই সিনেমায় নজর কেড়েছিলেন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি (Prosenjit Chatterjee)। তাঁর অভিনীত সুদীপ চরিত্রটি নিয়ে আলোচনা খুব কম হয়েছে। তবে হাতে কয়েকটি চরিত্রে প্রসেনজিৎ রক্তমাংসের মানুষে পরিণত করেছেন। যেখানে বড় চোখ করে প্রতিশোধের হুমকি দেওয়া নেই কিংবা নেই কারণে-অকারণে মারধর করার অভিপ্রায়।

আরো পড়ুন:রাইয়ের ওপর অভিমান করে খাবার ফিরিয়ে দিল অনির্বাণ! নিজের দিদির সুখ স’হ্য হচ্ছে না কু’ট’নি নীলুর! রাইয়ের বি’রু’দ্ধে ধোঁ’য়া দেওয়া শুরু করলো সে!

বছরের পর বছর পাড় হয়ে যায়। ঝিরিঝিরি দূরদর্শনের প্যানপ্যানে গান থেকে রঙিন হইচইয়ের দিকে সাহসী বাঙালি ধাওয়া করেছে বটে! সিনেমার ভাষায় যাকে বলে, বাঙালির জীবনে ‘বাইসাইকেল থিভস’ বা ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ বা ‘শাটার আইল্যান্ড’ নেই। তবে রয়েছে একফালি ‘উনিশে এপ্রিল’। তাই প্রতি বছর অন্তত এই দিনে বদলে যাওয়া সম্পর্কের টানাপড়েন নিয়ে বাঙালি ‘ভাবা প্র্যাকটিস’ করবে।

unishe april 1650371805142 1650371810821

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।