Mithijhora Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরা (Mithijhora)। দিনে দিনে বাড়ছে ধারাবাহিকের টিআরপি (Television Rating Point)। গত সপ্তাহেই সময় পরিবর্তন হওয়ার পর এবং কাহিনীতে একের এক চমক আসার পর দিনে দিনে বাড়ছে ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা। এই সপ্তাহে তাদের রেটিং প্রায় ছুঁ’য়ে ফেলেছে প্রতিপক্ষ চ্যানেল স্টার জলসার (Star Jalsha) ধারাবাহিক হরগৌরী পাইস হোটেলকে (Horogouri Paish Hotel)।
সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে শৌর্য্যকে পাওয়ার জন্য মা হওয়ার নাটক শুরু করেছে নীলু। তার এই নাটকের ফলে তাকে কাছে টেনে নিয়েছে শৌর্য্য। যদিও শৌর্য্য জানিয়ে দিয়েছে সে নীলুকে নিয়ে হাসপাতালে যাবে খুব শীঘ্রই। ওপরদিকে স্রোত রাইকে জানিয়ে দিয়েছে সে আর ওই কলেজে যেতে চায়না। সে অন্য কলেজের জন্য অ্যাপ্লাই করতে চলেছে। স্রোতের সমস্ত কথা অনির্বাণকে জানিয়েছে রাই। অনির্বাণও আশ্বস্ত করেছে সে একটা ব্যবস্থা করবে। যদিও পরেরদিন রাইয়ের অনির্বাণের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু সেইদিনই চলে আসে নীলু।
মিঠিঝোরার আজকের পর্ব ১৯ এপ্রিল (Mithijhora Today’s Episode 19 April):
ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে রাইয়ের বাড়ি থেকে যাওয়ার আগেই চলে এসেছে নীলু। বৌমণি রাইকে বলে চলে যেতে কিন্তু রাই তাকে বলে সে যদি এই সময় চলে যায় তাহলে নীলুর খারাপ লাগবে। নীলু এসেছে তখন তার যাওয়াটা ঠিক হবে না। আর কেউকে সে এটাও বলতে পারবে না যে সে তার স্যারের বাড়ি যাবে কারণ তাহলে আরও সম’স্যা তৈরি হবে। রাইয়ের এই কথা শুনে তার সঙ্গে সহমত পোষণ করেন বৌমণি। ওদিকে রাইয়ের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে অনির্বাণ। সে ভাবতে থাকে কেন রাইয়ের আসতে এতটা সময় লাগছে।
আসলে অনির্বাণ ভেবেছিলে আজ রাই আসলে সে তাকে তার সমস্ত মনের কথা খুলে বলবে। তখনই অনির্বাণকে ম্যাসেজ করে রাই জানিয়ে দেয় একটা গুরুত্বপূর্ন কারণে সে আজ যেতে পারবেন না। ম্যাসেজটা দেখেই রেগে যায় অনির্বাণ। সে মনে মনে ভাবে সব দোষ তার। রাইকে সে একটি বেশিই সাহস দিয়ে দিয়েছে। এবার থেকে সে রাইকে ঘে’ন্না করে। এখন থেকে সেও রাইকে কর্মচারীর মতোই দেখবে। তখনই কলিং বেল শুনতে পায় অনির্বাণ। সে ভাবে হয়তো রাই এসেছে। কিন্তু দরজা খুলে অনির্বাণ দেখে একজন ডেলিভারি বয়।
আরো পড়ুন: যীশু-আবির অ’তী’ত! নতুন সারেগামাপাতে সঞ্চালনা করতে চলেছেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা-গায়ক! নাম শুনলে চমকে উঠবেন আপনারা
অনির্বাণ তাকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে রাই তার জন্য খাবার পাঠিয়েছে। সেটা দেখেই আরও রে’গে যায় অনির্বাণ। সে ডেলিভারি বয়কে ৫০০ টাকা দিয়ে বলে খাবাটা রাইয়ের বাড়িতে দিয়ে দিতে। ছেলেটাও রাজি হয়ে যায়। ওদিকে রাইকে নানা কারণে অপমান করতে থাকে নী’লু, রাইয়ের দাদা এবং মা। রাই তাদের কথায় প্রতিবাদ না করলেও গর্জে ওঠে স্রোত। তখনই ডেলিভারি বয় এসে খাওয়াটা দিয়ে যায় রাইকে। সেটা দেখেই রাইকে আরও অ’প’মান করে সবাই। রাই মনে মনে ভাবতে থাকে কেন অনির্বাণ তার পাঠানো খাবারটা নিল না। তাহলে কি এবার ভাঙন ধরবে অনির্বাণ রাইয়ের ভালোবাসায়?