মঞ্চে গান গাইতে গাইতে হঠাৎ লুটিয়ে পড়েছিলেন কেকে (Singer KK)। কলকাতায় সেই অভিশপ্ত রাতের স্মৃতি আজও দেশবাসীর মনে তাজা। চোখের সামনে প্রিয় শিল্পীর চলে যাওয়া যেন এক অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি করেছিল, যেটা আজও অনুভব করেন ভক্তরা। আলোকিত মঞ্চ, উচ্ছ্বসিত দর্শক আর হঠাৎ করেই এক নিস্তব্ধতা! সেই দৃশ্যের কথা মনে পড়লেই যেন আপামর জনসাধারণের হৃদয় ভেঙে যায়।
ঠিক তেমনই আরেক দুঃসময়ের সাক্ষী হল কোচি শহর। রবিবার রাতে ভরা প্রেক্ষাগৃহে চলছিল এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সঙ্গীত আর উল্লাসের আবহে সকলেই ডুবে ছিলেন আনন্দে। হঠাৎ করেই সেই আনন্দ যেন থেমে গেল। মঞ্চের আলো-ঝলমলে পরিবেশ এক নিমেষে স্তব্ধ হয়ে গেল! মঞ্চে উপস্থাপনা করতে করতেই জনপ্রিয় শিল্পী হঠাৎ বুক চেপে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। দর্শকেরা হতবাক, কেউ বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না সামনে কী ঘটছে।
কয়েক মুহূর্তের মধ্যে হলঘর রূপ নিল উদ্বেগে ভরা এক নিস্তব্ধতায়। যিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন, তিনি মালয়ালামের পরিচিত মুখ রাজেশ কেশব, ভক্তদের কাছে যিনি ‘আরকে’ নামেই বেশি জনপ্রিয়। তার প্রাণবন্ত সঞ্চালনা থেকে অভিনয়ের জন্য বহুদিন ধরেই তিনি দর্শকের প্রিয় একজন মানুষ। মঞ্চে তার উপস্থিতি সবসময়ই ছিল প্রাণশক্তিতে ভরপুর, আর সেই মানুষটিকে হঠাৎ নি’থর হয়ে যেতে দেখে সকলে শিউরে উঠেছেন।
সঙ্গে সঙ্গে তাকে কোচির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মঞ্চেই তিনি হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মাত্রই তার জরুরি অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয়। বর্তমানে তিনি ভেন্টিলেটর সাপোর্টে আছেন এবং চিকিৎসকদের মতে, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতায় কিছুটা উন্নতি দেখা গিয়েছে, তবু আশঙ্কা রয়ে গেছে যে মস্তিষ্কে ক্ষতির প্রভাব পড়তে পারে।
আরও পড়ুনঃ “পঞ্চাশ বছর আগেও ভদ্রতা বলতে যা বুঝতাম, এখনও তাই বুঝি!” “সমাজ মাধ্যমের যুগে বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার বাড়ছে…সম্মানটুকু হারিয়ে ফেলছে মানুষ মানুষের প্রতি!”— কলকাতা দূরদর্শনের প্রথম মুখ, অভিজ্ঞতার আলোয় শাশ্বতী গুহঠাকুরতার ক্ষোভ তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে!
এই মুহূর্তে পুরো মালয়ালাম চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিই তার দ্রুত আরোগ্যের জন্য কামনা করছে। সহকর্মী থেকে শুরু করে ভক্তরা, সকলে সামাজিক মাধ্যমে প্রার্থনা করছেন রাজেশের দ্রুত সুস্থতার জন্য। পরিচালক প্রতাপ জয়লক্ষ্মী আবেগঘন পোস্টে লিখেছেন তাঁর মনের অবস্থা। ‘আরকে’ -এর এই অপ্রত্যাশিত অসুস্থতা আবারও মনে করিয়ে দিল, খ্যাতি আর আলো-ঝলমলে জীবনের আড়ালে শরীর কতটা ভঙ্গুর হতে পারে।