জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“পুজো মানেই মা-কে কাছে পাওয়া আর দেদার রোল খাওয়া”— শৈশবের বিশেষ স্মৃতি ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী মানসী সিনহা! তবে এবারের দুর্গাপুজো তিনি কাটাচ্ছেন দুশ্চিন্তায়! এই বছর কি এমন ঘটল অভিনেত্রী জীবনে?

শারদীয়ার আকাশে উৎসবের রঙ ছড়িয়ে পড়লেই বাঙালির মন ভরে ওঠে আনন্দে। পুজো মানেই শুধু ঠাকুর দেখা নয়, বরং প্রতিটি মানুষের কাছে থাকে নিজস্ব কিছু ব্যক্তিগত স্মৃতি। সেই তালিকা থেকে বাদ যাননি বাংলার পরিচিত মুখ, অভিনেত্রী মানসী সিনহাও। সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি শেয়ার করলেন তাঁর ছোটবেলার পুজোর অভিজ্ঞতা, যা আজও তাঁকে ভীষণ নস্টালজিক করে তোলে।

মানসীর কাছে ছোটবেলার পুজো মানেই ছিল এক অন্যরকম আনন্দ। তিনি জানান, সারা বছর বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকলেও সেই চারটে দিন তাঁর মা থাকতেন সম্পূর্ণ বাড়িতে। ফলে মায়ের সান্নিধ্যে কেটেছিল শৈশবের সবচেয়ে আনন্দঘন পুজো-যাপন। নিজের ভাষায় তিনি বলেন, “পুজো মানেই মা-কে পাশে পাওয়া।” সেই স্মৃতির টান আজও তাঁকে এই উৎসবের আবেগের সঙ্গে শক্ত করে বাঁধা রাখে।

তবে শুধু মাকে কাছে পাওয়া নয়, পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানসীর আরও এক মজার গল্প। তিনি হেসে বলেন, সারা বছর বাড়িতে রোল বানাতে গেলেই শোনা যেত ময়দার মান খারাপ। অথচ পুজোর সময় সেই ময়দাই হয়ে যেত ভালো, আর দেদার এগরোল খাওয়ার উৎসব চলত। শিশুমনে সেই স্বাদ নিয়ে আজও তাঁর আলাদা টান রয়েছে পুজোর প্রতি।

সময়ের সঙ্গে বদলেছে অনেক কিছু। এখনকার পুজো মানসীর কাছে মানে চারটে দিন ছুটি, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কাটানো কিছু অবসর। ছেলে-মেয়েরা আজকাল নিজস্বভাবে পুজো উপভোগ করলেও তিনি বরাবরই বাড়িতে থেকে আড্ডা দিতে ভালোবাসেন। কোলাহলের বাইরে নিজের মতো করেই উপভোগ করেন এই উৎসবের দিনগুলো।

অভিনয়ের দিক থেকেও পুজো বিশেষ জায়গা করে নেয় তাঁর জীবনে। গতবার মুক্তি পেয়েছিল তাঁর ছবি ‘৫ নং স্বপ্নময় লেন’। এবছর দর্শকের সামনে এসেছে ‘রক্তবীজ ২’। ছবিটি ইতিমধ্যেই প্রশংসা কুড়ালেও হল-শো পাওয়া নিয়ে কিছুটা চিন্তা রয়েছে তাঁর। তবুও দর্শকের ভালোবাসাই তাঁকে উৎসবের আসল প্রাপ্তি বলে মনে করেন মানসী।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page