বড়দিনে মুক্তি পেয়েছে বছরের অন্যতম প্রতীক্ষিত ছবি প্রজাপতি ২। আবারও বড় পর্দায় বাবা ছেলের ভূমিকায় একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে মিঠুন চক্রবর্তী ও দেবকে। ছবির প্রথম ভাগ যেমন দর্শকের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল, ঠিক তেমনই দ্বিতীয় পর্বও আবেগে ভাসাচ্ছে প্রেক্ষাগৃহ। বাবা ছেলের সম্পর্কের নানা রং ফুটে উঠেছে এই ছবিতে, যা বাস্তব জীবনের অনেক না বলা গল্পের সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন দর্শক।
ছবির মুক্তির আবহেই নিজের বাবাকে নিয়ে এক অত্যন্ত ব্যক্তিগত স্মৃতির কথা ভাগ করে নিয়েছেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। অভিনেতা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, বাস্তব জীবনে তাঁর সঙ্গে বাবার সম্পর্ক কখনও খুব মধুর ছিল না। প্রচলিত বাবা ছেলের ঘনিষ্ঠতার ছবি তাঁর জীবনে ছিল না বললেই চলে। তবু সম্পর্কের গভীরে যে অদৃশ্য টান থাকে, তা তিনি বুঝেছেন জীবনের একেবারে শেষ মুহূর্তে।
মিঠুন জানান, বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর খুব বেশি দিন কষ্ট পাননি। মৃত্যুর আগের সময়টুকুও ছিল শান্ত। সেই সময় একদিন হাসপাতাল থেকেই বাবার ফোন আসে তাঁর কাছে। তখন কোভিড পরিস্থিতির কারণে ব্যাঙ্গালোরে আটকে ছিলেন অভিনেতা। ফোন ধরতেই বাবার কণ্ঠে অন্য রকম এক আবেগ অনুভব করেছিলেন তিনি, যা আজও তাঁর কানে বাজে।
অভিনেতার কথায়, মৃত্যুর আগের দিন বাবা তাঁকে বলেছিলেন, তোকে একটা কথা বলতে খুব ইচ্ছে করছে। কোনও দিন বলিনি। আমার তোকে নিয়ে খুব গর্ব হয়। তোকে খুব ভালবাসি। এই কথাগুলো শুনে ভিতর থেকে ভেঙে পড়েছিলেন মিঠুন। তিনি বলেন, যাই হয়ে যাক না কেন, বাবা তো বাবাই। আজও বাবাকে নিজের সারাজীবনের হিরো বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ মা ছিলেন পরিচারিকা, বাবা বিক্রি করতেন ডাবের জল! দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পেরিয়ে আজ আন্তর্জাতিক মঞ্চে, অস্কারের দৌড়ে অভিনেতা! তাঁর সাফল্যের গল্প, হার মানাবে সিনেমাকেও!
আহিরিটোলার গৌরাঙ্গের জীবনে বাবাকে নিয়ে খুব বেশি মধুর স্মৃতি না থাকলেও, এই একটি ফোন কল তাঁর জীবনের সবচেয়ে দামি প্রাপ্তি হয়ে রয়ে গেছে। প্রজাপতি ২ ছবিতে পর্দার বাবা ছেলের সম্পর্ক দেখেও সেই স্মৃতিই ফিরে ফিরে আসছে তাঁর মনে। উল্লেখযোগ্যভাবে, মুক্তির প্রথম দিন থেকেই ছবিটি বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছে এবং দর্শক আবেগে ভাসছেন মহাগুরুর এই স্বীকারোক্তিতে।
