জি বাংলার ‘জোয়ার ভাঁটা’ (Jowar Bhanta) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, হোটেলের মালিকের ফোন পেয়েই জিৎ বসু সেখানে পৌঁছে দেখতে পায় যে অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। এরপর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তিনি বুঝতে পারেন যে এই সেই ছদ্মবেশী মহিলা, যার পায়ে সে গুলি করেছিল। তারপর অফিসার বাকি পুলিশদের জানিয়ে দেয় যে শহরে আরও মহিলা পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে হবে আর সব মেয়েদের পা দেখে তবেই ছাড়তে হবে, যাতে অপরাধী কিছুতেই পালাতে না পারে।
জিৎ বসু জানিয়ে দেয় যে এইবার আর অপরাধীকে কোনোভাবেই ছাড়বে না আর ঋষি বেঁচে গেলে ‘অ্যাটেম্পট টু মা’র্ডার’ মামলায় আরও বেশি সাজা হবে তাদের। ওদিকে, উজি রক্ত দেওয়ার পর ঋষির অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হয়। ডাক্তার উজিকে ধন্যবাদ দিতে বলেন ঋষির প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তারপর ঋষির মা এবং উজিকে সবাই বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নিতে বললে তারা প্রথমে রাজি না হলেও চলে যায়।

এরপর ঋষির কাকাকেও ঋষির দিদি এবং মেসোমশাই বাড়ি ফিরতে জোর করে। কারণ তাদের মনে ভয় যে, এই বিস্ফোরণের পেছনে যদি হরিপ্রসাদের মেয়েরা থাকে! আর ওরা পুলিশের কাছে ধরা পড়া মানে, হরিপ্রসাদের মৃ’ত্যুর কারণও বেরিয়ে যাওয়া আর সেটা হলেই মেসোর ফেঁসে যাবে! এসব কথার মাঝেই সেখানে জিৎ বসু এসে উপস্থিত হয়। সে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেয় যে, নিশ্চই অতীতে কারোর সঙ্গে শত্রুতার ফরে এই ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, নিশ্চই কেউ আছে যে ভীষণভাবে প্রতিশোধ নিয়ে চায় তাই প্রাণে না মেরে সে এইভাবে তিলে তিলে ক্ষতি করছে। জিৎ বসু সবার অতীত জানতে চায় আর সেখানেই বেরিয়ে আসে, ঋষির সামনে একটি ছেলের মৃ’ত্যুর ঘটনাটা। ছেলেটার পরিচয় বা ঠিকানা জানতে চান জিৎ, কিন্তু কেউ বলতে পারে না। এদিকে একই কথা উজিকেও জানায় ঋষির মা। তিনি বলেন, ঋষি নির্দোষ কিন্তু আজও নিজেকেই অপরাধী মনে করে ওই রাতের জন্য।
আরও পড়ুনঃ মৃ’ত্যুশয্যায় বাবার শেষ ফোন ছেলেকে! বাবার মুখে সেদিন কোন কথা শুনে ভেঙে পড়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী? ‘প্রজাপতি ২’ মুক্তি পেতেই, অভিনেতার আবেগঘন স্মৃতিচারণ!
ঋষির মা উজির কাছে কথা চান যে সবাই ঋষিকে ছেড়ে গেলেও সে যেন না যায়! উজিকে মাথার দিব্যি দেন ঋষির মা। এরপর উজি মেনে নিতেই তাকে বুকে টেনে নেন তিনি। অন্যদিকে, নিশা উজিকে ফোন করে জানতে চায়, ঋষি বেঁচে আছে কিনা! এই কথা শুনে উজি খুব রেগে গিয়ে দিদিকে পি’শাচ বলে! সে স্পষ্ট করে জানায় যে, প্রতিশোধ কখনও এমন হয় না। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে নিশাও বলে যে, উজি যেন সে মন্দির আর ঠাকুরের কাছে ইচ্ছে যায়। কিন্তু ঋষিকে সে বাঁচতে দেবে না!
