বর্তমানে বাংলা ধারাবাহিকের ট্রেন্ড অনুযায়ী এখন এক একটি ধারাবাহিকের মেয়াদ খুব বেশি হলে ছয়-সাত মাস। ‘মিঠাই(Mithai)’, ‘গাঁটছড়া’র (Gaatchora) মতো কিছু ধারাবাহিক এক, দুই বছরের গন্ডি পেরিয়েছে। যদিও সম্প্রতি একাধিক চ্যানেলে বিভিন্ন সিরিয়াল বন্ধ হয়ে চালু হয়েছে একাধিক নতুন সিরিয়াল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোথাও গিয়ে বাঙালির সিরিয়াল প্রেমে খামতি আসেনি। এখন নিত্যদিন টেলিভিশনের পর্দায় আসছে নতুন নতুন ধারাবাহিক।
আর টেলিভিশন দুনিয়ায় আরও একটি ধারাবাহিক ছিল যা গাঁটছড়া, মিঠাইয়ের মতো ১ বছর ৯ মাস যাবৎ দর্শকদের মনোরঞ্জন করেছিল। এই ধারাবাহিকটি সম্প্রচারিত হতো সান বাংলায়। কী মনে পড়ছে? হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন ধারাবাহিক ‘কন্যাদান।’ সাম্প্রতিক সময়ে টেলিভিশনের পর্দায় চলা অন্যতম দীর্ঘদিনব্যপী ধারাবাহিক ছিল এটি। চলতি বছর সরস্বতী পুজোর প্রাক্কালে বন্ধ হয়ে যায় এই ধারাবাহিকটি।
এই ধারাবাহিক ছিল পাঁচ মেয়ের গল্প নিয়ে। প্রথম থেকে দেখা যায় যে, তিথি, নীরা, মন, বীথি আর ঝিনুক এই পাঁচ মেয়েকে একার হাতে বড় করে তুলেছেন এই মাস্টারমশাই বাবা। পাঁচ মেয়ের মধ্যে চার মেয়ের বিয়েও দেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কন্যা দান করে দিলেই কী বাবা-মায়ের সব দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়? এটাই ছিল কন্যাদান ধারাবাহিকের প্রেক্ষাপট। এই গল্পে দেখানো হয় বিয়ে দিয়ে দেওয়ার পরে বাবার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। কারণ মেয়েরা সুখী নয়। উক্ত ধারাবাহিকে দেখানো হয়,মাস্টারমশাইয়ের চার মেয়ের মধ্যে তিথির স্বামীর রোজগার করে না। নীরার স্বামী চরিত্রহীন, মনের স্বামী মানসিকভাবে অসুস্থ। তবে স্বামীর ভালোবাসা পেয়েছিল বিথী। কিন্তু তাঁর জীবনে ছিল ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের ছায়া।
আর এই ধারাবাহিকে নীরার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী পিয়া মালাকার। এটাই ছিল তাঁর প্রথম কাজ। কন্যাদান ধারাবাহিকে অভিনয় করে দারুণ জনপ্রিয়তা প্রশংসা পেয়েছিলেন পিয়া। আর এই মোক্ষম সময়ই একটা বড় সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেত্রী। ছাড়লেন অভিনয়। ফিরলেন পড়াশোনার জগতে। আসলে অভিনয়ের পাশপাশি আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন এই অভিনেত্রী। আর এবার যে বিষয় নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন তা নিয়েই ইন্টার্নশিপ শুরু করলেন তিনি। নিজের প্রথম দিনের কাজের অভিজ্ঞতা তিনি ভাগ করে নিয়েছেন পিয়া মালাকার ভ্লগসে। অভিনয় ছেড়ে তাঁর এই নতুন যাত্রাপথে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁর ভক্ত-অনুগামীরা। নিঃসন্দেহে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড ছেড়ে আবারও পড়াশোনার জগতে ফেরা যে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত তা বলা বাহুল্য।