অনেক প্রতীক্ষার পর অবশেষে পর্দায় সাতপাকে বাঁধা পড়তে চলেছে আর্য ও অপর্ণা। এই বিয়ের মুহূর্ত ঘিরে দর্শকের উত্তেজনাও তুঙ্গে। নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে গল্প এসে পৌঁছেছে শুভ পরিণতির দোরগোড়ায়। ধারাবাহিকের বর্তমান ট্র্যাক জুড়ে শুধু বিয়ের আয়োজন আর আবেগের রং। দর্শকের চোখে এখন শুধুই চার হাত এক হওয়ার স্বপ্ন।
ধারাবাহিকের সেটে এখন যেন আস্ত এক বিয়েবাড়ির আমেজ। আইবুড়োভাত থেকে শুরু করে মেহেন্দি ও হলুদের অনুষ্ঠান সবই আলাদা ভাবে সাজানো। ফুল আর রঙিন কাপড়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে প্রতিটি কোণা। বাস্তব জীবনের বিয়েতে যেমন আয়োজন দেখা যায় ঠিক তেমনই খুঁটিনাটি মেনে তৈরি হয়েছে প্রতিটি দৃশ্য।
এই বিশাল আয়োজন দেখে অবাক জিতু কামাল নিজেও। পর্দায় বর সেজে এমন জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ের অভিজ্ঞতা তাঁর কাছে একেবারেই নতুন। অভিনেতা জানাচ্ছেন এত বড় মাপের আয়োজন আগে কখনও ক্যামেরার সামনে করেননি। প্রতিটি অনুষ্ঠানের জন্য আলাদা সেট তৈরি হওয়ায় কাজের অভিজ্ঞতাও হয়ে উঠেছে বিশেষ।
পর্দার এই বিয়ের আবহে কাজ করতে গিয়েই নাকি নিজের জীবনের বিশেষ দিনগুলোর কথাও মনে পড়ে যাচ্ছে জিতুর। শুটিংয়ের ফাঁকে আবেগে ডুবে তিনি ভাবছেন বাস্তব জীবনের বিয়ের মুহূর্তগুলোর কথা। স্মৃতি আর বর্তমানের মেলবন্ধনে অভিনেতার চোখেমুখে ধরা পড়ছে আলাদা উচ্ছ্বাস।
আরও পড়ুনঃ “ছোটবেলা থেকেই আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাসী, সিনেমা দেখতে যাওয়া বা অন্য কোথাও ঘুরতে যাওয়ার বদলে মন্দিরেই সময় কাটত”— দাবি শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের! ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবির আধ্যাত্মিক আবহেই নিজের বিশ্বাস, ঈশ্বরের আশীর্বাদ ও জীবনের গভীর দর্শন নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী!
আর্য ও অপর্ণার বিয়ের দৃশ্য যে শুধু গল্পের জন্য নয় তা স্পষ্ট। এই আয়োজন ছুঁয়ে যাচ্ছে শিল্পী ও দর্শক সবার মন। জিতুর কথায় পর্দার এই বিয়ে সত্যিই চোখ ধাঁধানো। বাস্তব হোক বা অভিনয় এমন অভিজ্ঞতা খুব কমই আসে। তাই এই বিয়ে হয়ে উঠেছে ধারাবাহিকের অন্যতম স্মরণীয় অধ্যায়।
