জি বাংলার এই মুহূর্তে অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) শুরুর দিন থেকেই ধারাবাহিকপ্রেমীদের মধ্যে একটা বিশেষ উত্তেজনা তৈরি করেছে। ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন অভিনেতা জীতু কামাল (Jeetu Kamal), বিপরীতে দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy)। ধারাবাহিকটি গল্প বলছে অসমবয়সী প্রেমের। যেখানে একজন মধ্য বয়স্ক ব্যবসায়ীর প্রেমে পড়ে এক নিম্ন মধ্যবিত্তকারী তরুণী। কিন্তু তাদের পরিণয়ের পথে অনেক বাঁধা আর বিপত্তি।
অতীতের ছায়ায় যেখানে লুকিয়ে আছে রহস্য এবং ভবিষ্যতেও রয়েছে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা! তবুও, আর্য সিংহ রায় এবং অপর্ণা যেন একে অপরকে ছাড়া অসম্পূর্ণ! নিত্যদিনের পারিবারিক অশান্তির বাইরে বেরিয়ে, এই ধারাবাহিকের গল্প অনেকেরই মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। সমাজ মাধ্যমে আর্য এবং অপর্ণার জুটিকে সেরা বলেও অনেকে ঘোষণা করে ফেলেছে। তবে, মাস খানেক আগে অভিনেতা জীতু এবং দিতিপ্রিয়াকে নিয়ে বিতর্কে সর গরম হয়েছিল টলিপাড়া।
জীতুর কিছু কথা এবং আচরণে নাকি দিতিপ্রিয়ার মর্যাদাহানি হয়েছে, তাই তিনি অভিনয় করতে চাননি। পরবর্তীতে ধারাবাহিকের প্রোডাকশন হাউস এসভিএফ, দুই শিল্পীর বিতর্কে মধ্যস্থতা করে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তারপরেও অভিযোগ উঠেছিল যে, জীতুকে ধারাবাহিকে খুব একটা প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি জুটিতে বিজ্ঞাপনে থাকার কথা, সেখানে দিতিপ্রিয়া একা রয়েছেন। সমাজ মাধ্যমে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন ভক্তরা। এরপর যদিও অভিনেতা সবটা ভুল ধারণা বলেই উড়িয়ে দেন।
কিন্তু আবারও জীতুর ভক্তরা রেগে গেছেন, প্রোডাকশন হাউস এসভিএফের কাণ্ড দেখে! ঠিক কী হয়েছে? সম্প্রতি দেখা গেল, আর্য আর অপর্ণার পরিণয়ের পথে নতুন কাঁটা হয়ে ফিরেছে এক রহস্যময় নারী। যে কিনা একসময় পাগলের মতো ভালোবাসত আর্যকে। এই চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে, সদ্য অসুস্থতা কাটিয়ে অভিনয়ে ফেরা অভিনেত্রী সায়ন্তনী মল্লিক। যাকে দেখা যাচ্ছে আর্য-অপর্ণার গল্পে নতুন খলনায়িকা রূপে। আর এই নিয়েই আবারও প্রশ্ন উঠেছে, প্রোডাকশন হাউসের ভূমিকা নিয়ে। একজন বলেছেন, “এসভিএফ প্রোডাকশনের কি দুর্ভিক্ষ লেগেছে?
আরও পড়ুন: “বাবা-মায়ের দেওয়া শিক্ষা অমূল্য, জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপে আজও সেই শিক্ষাই আমাকে চালায়”— নিজের জীবনের দর্শন নিয়ে অকপট কোয়েল মল্লিক
মানে, রুচি এতো খারাপ হয় কী করে! এই মহিলা আর্য সিংহ রায়ের মায়ের বয়সি হবে, সে কিনা আর্যর জন্য পাগল! আর্য সিংহ রায়ের যেমন পর্দায় শত্রুর অভাব নেই, তেমনই জীতু দার বাস্তব জীবনেও শত্রুর কোনও অভাব নেই দেখছি! ধারাবাহিকের লেখিকা মনে হয় মেয়ে, তাঁরও পছন্দ ছিল অর্যকে, লেখার মাধ্যমেই তাই রাগ তুলতেছে। কিছুতেই যাতে নায়িকার সঙ্গে মিল না হয়, তার চেষ্টাই করে যাচ্ছেন রোজ। সত্যি বলতে বিরক্ত লাগছে!” আপনাদের কী মতামত? জানাতে ভুলবেন না কিন্তু!
