এক সময় একের পর এক ধারার সিনেমা উপহার দিয়েছেন বাঙালি দর্শকদের। তাঁর ভয়ে রীতিমতো তটস্থ হয়ে থাকত বাংলা সিনেমার সমস্ত খলনায়করা। কারণ তিনি বেল্ট দিয়ে চাপকে সিধা করে দিতেন। বলা যায় এই অভিনেতার হাত ধরে সাদা-কালোর বাইরে রঙিন বাংলা সিনেমায় একটা নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছিল।
আশা করি এতক্ষণে বুঝে গেছেন কার কথা বলা হচ্ছে। হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন তিনি হলেন জনপ্রিয় অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক। দীর্ঘ সময় ধরে পর্দায় দেখা যায়নি জনপ্রিয় অভিনেতাকে। তবে এবার মিলল একটা বড় সুখবর।
দীর্ঘ ৪০ বছর পর আবার ফিরতে চলেছেন পর্দায়। পরিচালক নিহাল দত্ত পরিচালিত অপরাজেয় সিনেমায় শুভঙ্কর সান্যাল চরিত্রের মাধ্যমে ফিরে আসছেন রঞ্জিত মল্লিক। যারা অভিনেতার আগেকার সিনেমাগুলি দেখেছে তারা এই শুভঙ্কর সান্যাল চরিত্রের সঙ্গে বেশ ভালো মতই পরিচিত।
তাই এই খবর শোনার পর বহু বাঙালি দর্শক ফিরে গিয়েছে পুরনো নস্টালজিয়ায়। শত্রু সিনেমায় রঞ্জিত মল্লিক শুভঙ্কর সান্যাল চরিত্রের মধ্যে দিয়ে বেশ জনপ্রিয় এবং প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠেছিলেন। তবে শত্রু সিনেমাতে তিনি পুলিশের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন আর এবার আইনজীবীর চরিত্রে দেখা যাবে রঞ্জিত মল্লিককে।
৪০ বছর আগে ঠিক যেভাবে প্রতিবাদ করেছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবার আবার গর্জে উঠবেন রঞ্জিত মল্লিক ওরফে শুভঙ্কর সান্যাল। এই সিনেমায় তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত আইনজীবী। তবু এখনো অন্যায় দেখলে চুপ করে থাকতে পারেন না। বারবার প্রতিবাদ করতে গিয়ে অপদস্ত হতে হয় তবুও চুপ করে থাকেন না তিনি।
এই ধরনের একটি বলিষ্ঠ চরিত্রে আবার ফিরতে চলেছেন রঞ্জিত মল্লিক। সঙ্গে থাকবেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়, লাবনী সরকারের মতো প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।
তবে জানা গেছে প্রথমে কিন্তু এই সিনেমায় কাজ করতে রাজি হননি রঞ্জিত মল্লিক। পরে চরিত্রের নাম শুনে এবং গল্প জেনে রাজি হয়ে যান তিনি। অপরদিকে পরিচালক জানিয়েছেন এই চরিত্র জন্য প্রথম থেকেই তিনি রঞ্জিত মল্লিককে ভেবে রেখেছিলেন।