মা দুর্গা সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়ি আসতেই, পড়েছে ঢাকে কাঠি। অবশেষে দুর্যোগের ভ্রুকুটি কাটিয়ে বাঙালি প্রস্তুত দুর্গাপুজো (Durga Puja) উদযাপন করতে। দেবীর চার সন্তানের মধ্যে কার্তিককে নিয়ে মানুষের কৌতূহল চিরকালই তুঙ্গে থাকে। তাঁর তুলনা টানা হয় অবিবাহিত পুরুষদের সঙ্গে আজও। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে চিরকুমার কার্তিকের। তাঁর সৌন্দর্য, শৌখিন রূপ এবং অবিবাহিত অবস্থার প্রসঙ্গ নিয়েই যুগে যুগে গল্পগাথা রচিত হয়েছে। তবে টলিউড অভিনেতা তথা রাজনীতিক ‘রুদ্রনীল ঘোষ’-এর (Rudranil Ghosh) চোখে কার্তিককে নিয়ে ধারণা একেবারেই ভিন্ন।
প্রসঙ্গত, অভিনেতা নিজেও এখনও অবিবাহিত। শারদীয়াতে তাই নিজের চিরকুমার তকমা নিয়ে তিনি জানালেন, কার্তিককে তিনি কল্পনা করেন এক সুদর্শন পুরুষ হিসেবে। যাঁর রয়েছে– সরু গোঁফ, মজবুত শরীর আর চওড়া বুক। অভিনেতার মতে, এই রূপে যে কোনও নারীর মন সহজেই ভেসে যেতে পারে। তবে নিজের চেহারার সঙ্গে কার্তিকের তুলনা টেনে তিনি ব্যাঙ্গই করেছেন। বললেন, তিনি নাকি সেই সুদর্শন চেহারার ধারে কাছেও যান না।
তাঁর চাপা গায়ের রং, ছোটখাটো চেহারা নিয়ে বিনোদন দুনিয়ার লম্বা-চওড়া নায়কদের ভিড়ে তিনি যেন নিজেকে ‘টিমটিমে প্রদীপ’ হিসেবেই দেখেন। কিন্তু শুধু রূপ নয়, অভিনেতার মতে কার্তিকের আসল শক্তি তাঁর গুণাবলীতে। এদিন এই দিকটাই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে রুদ্রনীলের কথায়। তাঁর ব্যাখ্যা, কার্তিক মানেই কেবল রূপে মোহিত করা নয়, বরং দেবসেনাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাও।
যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্য পরিচালনা, শত্রুকে লক্ষ্য করে ধনুকের তীর ছোঁড়া— এই দক্ষতা ছাড়া সেনাপতির পদ পাওয়া সম্ভব নয়। তাই কার্তিকের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি তাঁর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিশক্তি আর দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। রুদ্রনীল এও মনে করেন, কার্তিককে শুধু চিরকুমার হিসেবে দেখা এক ধরনের ভ্রান্ত ধারণা। পুরাণ মতে, দেবী ষষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়েছিল। অর্থাৎ, তিনি একেবারেই ‘অবিবাহিত’ নন। অভিনেতার কথায়, তিনিও হয়তো হঠাৎ একদিন কাউকে বিয়ে করে বসবেন।
আরও পড়ুনঃ দিতিপ্রিয়া হটাও, জিতুর বিপরীতে তিতিক্ষাকে আনার দাবিতে সমাজ মাধ্যমে দর্শকদের উত্তেজনা! ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’এ শীঘ্রই নায়িকা পরিবর্তন? আপনারা কতটা উৎসাহী, দিতিপ্রিয়ার জায়গায় তিতিক্ষাকে নিয়ে?
আর তখনই তাঁরও ‘আইবুড়ো’ নাম মুছে যাবে। রসিকতা মিশিয়ে জানালেন, চিরকুমার ট্যাগ একদিন ঝরে পড়তেই পারে। তবে, রুদ্রনীল এটাও স্পষ্ট করে দিলেন যে, দেবতার রূপ হয়তো অনেক সময়ে আলোচনায় আসে, কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা লুকিয়ে রয়েছে তাঁর দৃঢ় চরিত্র আর যুদ্ধজয়ের সক্ষমতায়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনিও এই গুণ অর্জন করতে চান, যেন কোনও লক্ষ্যভ্রষ্ট না হয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
