সুদীর্ঘ আড়াই বছর ধরে টানা দর্শকদের মনোরঞ্জন করে মিঠাই ধারাবাহিক শেষ হয়ে গেছে। এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের মনের মধ্যে চিরস্থায়ী জায়গা তৈরী করে নিয়েছে। এই ধারাবাহিকের বিভিন্ন চরিত্ররা বিভিন্ন কাজে ফিরেছেন। তবে সবথেকে বেশি আলোচনায় মূল নায়িকা সৌমীতৃষা কুন্ডু। তিনি ধারাবাহিকের দুনিয়াকে বিদায় জানিয়ে আপাতত সিনেমায় পা রাখলেন। বলা যায় যে স্বল্প সময়ে বিরাট বড় সাফল্য পেয়ে গেলেন তিনি।
মিঠাই ধারাবাহিকের শেষের দিকে নিজের অনুরাগীদের নিজেই এই সুখবর দেন অভিনেত্রী। সুপারস্টার দেবের বিপরীতে ‘প্রধান’ সিনেমায় অভিনয় করলেন আর তারই স্ত্রী হলেন। টনিক, প্রজাপতির মতো বিরাট সব সাফল্যমণ্ডিত সিনেমার প্রযোজক অতনু রায় চৌধুরীর কাছ থেকে দেবের বিপরীতে অভিনয়ের জন্য প্রথমবারের জন্য ফোন পেয়েছিলেন সৌমী। আর এই সুযোগ একেবারেই হাতছাড়া করেননি তিনি। আর এখন প্রধান মুক্তি পেতেই আলোচনার শীর্ষে সৌমী।
আর দেবের অনস্ক্রিন স্ত্রী রুমি প্রধানের প্রশংসায় তখন পঞ্চমুখ হন তার প্রেমিকা ও নায়িকা রুক্মিনী মৈত্র। তার কথায়, ‘সৌমীতৃষা ভীষণ মিষ্টি মেয়ে, খুব মিশুকে। আমরা অনেক গল্প করি।’ এছাড়া দেব ব্যাপক প্রশংসা করে জানিয়েছিলেন যে প্রধান সিনেমার চরিত্রটার জন্য সৌমীতৃষাকেই তার সব দিক থেকে উপযুক্ত মনে হয়েছিল। তাদের মনে হয়েছিল ওই এই চরিত্রটা সৌমীর জন্যই তৈরি। আর তাই ওকে বেছে নেওয়া হয়। আর দেবকে এই কাজে সাহায্য করেন রুক্মিণী। অর্থাৎ অভিনেত্রী সৌমিতৃষাকে প্রধানের নায়িকা হিসেবে প্রথম পছন্দ করেছিলেন রুক্মিণী নিজেই। খুব মিশুকে একটা মেয়ে মনে হয়েছিল তার সৌমীকে।
এদিকে সেই রুক্মিণীকেই নাকি সোশ্যাল মিডিয়ায় আর ফলো করছেন না সৌমী। হ্যাঁ, প্রথম অভিযোগ ওঠে মিঠাই সিরিয়ালের তোর্সা অর্থাৎ তন্বী লাহা রায় এক পোস্ট করেন যেখানে বলেন যে যখন প্রয়োজন ছিল তখন ফলো করেছিলেন এক নায়ক বা নায়িকা আর এখন উপরে উঠতেই আনফলো করে দিলেন। সবার দাবি এতে তিনি সৌমীকেই বিদ্ধ করেছেন। আর সেটা নিয়ে মানুষ লেগে পড়ে সৌমীকে কটাক্ষ করতে।
আরও পড়ুনঃ মিষ্টিদিকে প্রকাশ্যে ট্রোল করল স্মার্ট দিদি নন্দিনী! বলল ‘চাঁদপাড়ায় আমার বাড়ি’
ঠিক তারপরেই খবর ছড়িয়ে যায় যে এবার সৌমী রুক্মিণীকে আনফলো করছেন। অর্থাৎ এক সময় রুক্মিণীকে ফলো করলেও প্রধান মুক্তি পেতেই করলেন আনফলো। কিন্তু কেন? কেউ জানে না উত্তর। তবে সবাই বলছেন অহংকারী হয়ে গেছেন সৌমী।