সোমবার সকাল ১১:১৭ নাগাদ কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন কিংবদন্তী বাঙালি পরিচালক তরুণ মজুমদার। মৃত্যুকালীন তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। বহুদিন কিডনির সমস্যার জন্য উডবার্ন ব্লকে ভর্তি ছিলেন তিনি। শোকের ছায়া টলিউডে। গল্পকে সিনেমার আকারে মানুষের কাছে তুলে ধরতেন তিনি।
তরুণ মজুমদারের চলে যাওয়ায় নিয়ে শোক প্রকাশ করলেন শতাব্দী রায়। তিনি জানালেন, ‘বাংলা দর্শকদের জন্য বিরাট ক্ষতি।’ তরুণ মজুমদারের সঙ্গে ‘পরশমণি’ এবং ‘আপন আমার আপন’ এই দু’টি সিনেমাতে কাজ করেছেন। শতাব্দী রায় সাংবাদিক মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘তরুণ মজুমদারের জীবনাবসান বাংলা দর্শকদের জন্য বিরাট ক্ষতি। কারণ তিনি যে ছবি তৈরি করেছেন তা বাণিজ্যিক ছবি, কিন্তু প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছেছে। দর্শকদের মন ছুঁয়েছে। যে অভিনেতারা তাঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাননি তাঁরা এমন একটা ব্যক্তিত্বকে হারালেন যাঁর সঙ্গে কাজ না করলেও, শুধু কথা বললেও অনেক কিছু শেখা যেত। তিনি শিল্পীকে হাতে ধরে শেখাতেন। শিল্পীদের সম্মান দেওয়া, তাঁর কাছে শেখার ছিল।’
শোক প্রকাশ করতে গিয়ে শতাব্দী রায় স্মৃতিচারণ করলেন তাঁর সঙ্গে ছবি তৈরির মুহূর্তের। তিনি বললেন, ‘ আমি দুটি ছবিতে তাঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। এরমধ্যে পরশমণিতে গ্রামের মেয়ে এবং আপন আমার আপনে একেবারে মর্ডান চরিত্র। তিনি একটা স্ক্রিপ্ট কীভাবে চাইছেন তা তিনি বোঝাতেন। তিনি নিজেই অভিনয় করে বোঝাতেন তিনি কী চাইছেন। আপন আমার আপনে সাতজন বোনের চরিত্র ছিল। ছবির স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী, সকলেই মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট বাজাতে পারত। তাই তিনি নিজে সব শিল্পীদের বাড়িতে গিটার পৌঁছে দিয়েছিলেন। যাতে সবাই শিখে সেটা আসতে পারেন।
তাঁর মৃত্যুর সংবাদে স্ত্রী সহ টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালক সকলে শোকাহত। উল্লেখ্য, ভারতীয় সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য তরুণ মজুমদার পাঁচটি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।