হু ইজ কেকে? এই প্রশ্ন করে বিতর্কের সূত্রপাত করেছিলেন বাঙালি গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। সেই বিতর্ক একের পর এক নতুনভাবে দানা বেঁধেছে। ঘটনার কালক্রমে এসেছে নানা পুরনো অভিযোগ এবং নতুন অভিযোগ।
প্রয়াত গায়ক কেকেকে নিয়ে গায়ক রুপঙ্কর বাগচীর এমন মন্তব্যের সোশ্যাল মিডিয়ার রোষানলে পড়তে হয়েছিল এই গায়ককে। কেকের মৃত্যুর আগে যে মন্তব্য তিনি করেছিলেন তা যেন কেকের মৃত্যুর পর আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়ার মতো কাজ করেছিল। ক্ষেপে উঠেছিল নেট দুনিয়া।
শুধু গায়ক নয় গায়কের পরিবারকেও ছাড়া হয়নি তুলোধোনা করা থেকে। ধর্ষণ এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছেন তিনি ও তাঁর পরিবার। তবে এরপর আরেক নতুন বিতর্ক শুরু হয়।
জানা যায় অন্যের গান চুরির অভিযোগ উঠেছে এই গায়কের বিরুদ্ধে। ইউটিউবার মনোরমা ঘোষাল অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রূপঙ্কর বাগচী এবং কম্পোজার পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তদন্ত করেছে নিউ টাউন থানার পুলিশ।
ছয় মাস আগে মনোরমা নিজের চ্যানেলে একটা গান আপলোড করেছিলেন। তার জন্য পারিশ্রমিক দিয়েছিলেন পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কারণ যাতে গানটা সকল দর্শকের কাছে পৌঁছে যায়। এরপর নাকি এক সপ্তাহ আগে থেকে পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় মনোরমা ঘোষালকে মেসেজ করতে থাকেন যাতে গানটি সরিয়ে নেন তিনি।
এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর দেন রূপঙ্কর বাগচী গানটি গাইছেন। তাই ব্যাপারটি যেন মেনে নেন তিনি। তখন মনোরমা জানিয়েছিলেন তিনি কোনোভাবে আপোষ করতে পারবেন না। বুধবার রূপঙ্কর বাগচীর গানটি রিলিজ করে।
তবে গান চুরির এই অভিযোগ প্রথমবার নয়। এর আগে এই একই রকম অভিযোগে ফেঁসেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথের ২২০০ গানের অনেকগুলি নাকি তাঁর নিজের মৌলিক গান নয়। অন্য কোন গানের সুর থেকে সরাসরি নকল করা অথবা সেগুলো ভেঙে নিজের মতো গান তৈরি করে নিয়েছেন এমনটাই অভিযোগ উঠেছিল বিশ্বকবির বিরুদ্ধে। শোনা যায় গগন হরকরার সুর চুরি করে রবীন্দ্রনাথ গান বানিয়েছিলেন।