জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

তুঙ্গে বিনোদিনী তরজা! রাম কমলকে ‘হাইব্রিড মায়েস্ত্র’ বলে কটাক্ষ সৃজিতের! যোগ্য জবাব দিলেন বিনোদিনীর পরিচালক

গত পাঁচ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে চলতি বছর জানুয়ারি মাসের ২৩ তারিখ রিলিজ হয়েছে, ‘রাম কমল মুখার্জি’ (Ram Kamal Mukharjee) পরিচালিত “বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান” (Binodini ekti notir upakkhan)। ২০১৯ সালে এই ছবির ঘোষণা হয়, এরপর লকডাউন ও কোভিডের কারণে ছবি তৈরি স্থগিত থাকে। পরিচালক রামকমলের মতে ২০২০-২১ সালের পরিস্থিতি মানুষকে ওটিটি কেন্দ্রিক করে দিয়েছে। বর্তমানে সিনেমা হল বন্ধের পথে। খুব বড় কোনো তারকার সিনেমা ছাড়া মানুষ এখন হল মুখও হতে চায় না। এর আঁচ তার ছবি বিনোদিনীর গায়েও পড়েছে।

একে তো মহিলাকেন্দ্রিক ছবি তার উপরে আবার ব্যায়োপিক, যারা সিনেমাটি করতে এসেছিলেন তারা কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতি দেখে ও বাজেটের কথা চিন্তা করে পিছিয়ে যান। এতেও হার মানেননি পরিচালক রাম কমল। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরিচালক বলেন, “আমি আগে থেকেই ঠিক করেছিলাম সিনেমাটা আমি এই বাজেটেই বানাবো আর রুক্মিণীকে নিয়েই বানাবো” প্রসঙ্গত বিনোদিনী সিনেমায় মুখ্য চরিত্র অর্থাৎ বিনোদিনী হিসাবে রুক্মিণী মৈত্র অভিনয় করেছেন। বেশ প্রশংসাও কুড়িয়েছেন দর্শকদের কাছ থেকে।

image 12

বলাই বাহুল্য যে ‘বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান’ বাংলা ছবি প্রিয় দর্শককে হল মুখো করতে কিছুটা সক্ষম হয়েছে। এর পরবর্তীতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, “আমি রাম কমল মুখোপাধ্যায় কে কুর্নিশ জানাই। যেভাবে উনি গত পাঁচ বছর আমার পাশে দাঁড়িয়েছে আর বলেছেন নারীকেন্দ্রিক ছবি বানালে সেটা আমার সঙ্গেই বানাবে। আমি সবাইকে সম্মান জানিয়েই ছোট মুখে বড় কথা বলছি, বনশালী আর আমাদের বাংলার ঋতুদা দুজন মিলে যদি একসাথে কিছু দিতে পারত বা চেষ্টা করত সেটা হল আমার রাম কমল।”

অভিনেত্রী আরও বলেন, ” উনি যেভাবে আমাকে সাহস দিয়েছেন এবং ছবিটি যেরকম জায়গায় দাঁড়িয়েছে সেখান থেকে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের মতো পরিচালকের ওঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হওয়াটাই তো প্রাপ্য বিনোদিনীর”। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী আরো বলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আসন্ন ছবি ‘লহ গৌরঙ্গের নাম রে’ তে সৃজিত নাকি প্রথমে রুক্মিণীকেই বিনোদিনী চরিত্রটির অফার করেছিলেন। সমাজমাধ্যমে এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় পাল্টা জবাব দেন।

অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে সৃজিত বলেন, তার ছবি ২০১৯ সালে লেখা হয়ে গিয়েছে আর প্রথম থেকেই বিনোদিনী চরিত্রে তিনি অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলীকেই কল্পনা করেছেন। বরং একটি অন্য চরিত্রের জন্য তিনি রুক্মিণীকে চেয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গ টেনে পরিচালক আরো বলেন “আমার অন্যান্য ছবির মতন এটিও একটি অরিজিনাল গল্প সম্পূর্ণটাই গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর সময়কালকে ঘিরে কারোর বায়োপিক নয়”। রুক্মিনীর ঋতুপর্ণ ঘোষ এবং বনশালির সাথে রাম কমলের তুলনাকে কটাক্ষ করেই সৃজিত বলেন ‘হাইব্রিড মায়েস্ট্রো’ ।

একটি সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে পরিচালক রাম কমলকে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান এই বিষয়ে তিনি অবগত বরং সৃজিতের এ হেনো কটাক্ষ তিনি মাথা পেতে গ্রহণ করেছেন প্রশংসা হিসাবে। তিনি বলেন, “উনি হয়তো নেগেটিভ ভাবে কথাটি বলেছেন কিন্তু ঋতুপর্ণ ঘোষ যিনি জাতীয় স্তরে নিয়ে গিয়েছিলেন বাংলার সিনেমাকে এবং বনশালির সাথে কখনোই নিজেকে তুলনা করব না বা সেই ধৃষ্টতা আমার নেই কিন্তু যখন দুজনে সংমিশ্রণে আমাকে ‘হাইব্রিড’ বলা হয়েছে সেটি আমি প্রশংসাই মনে করছি। তবে কোনদিনও সৃজিতের মুখোমুখি দাঁড়ালে অবশ্যই জিজ্ঞেস করবো কিসের এত রাগ আমার উপর?” এর থেকে বোঝাই যাচ্ছে বাংলায় এই দুই পরিচালক এখন বহুল চর্চিত তাঁদের পারস্পরিক সম্পর্ককে নিয়ে।

Piya Chanda