জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

টেলিভিশন রেটিংয়ে চমকপ্রদ পরিবর্তন! জি বাংলাকে পিছনে ফেলে শীর্ষস্থান দখল করলো‌ স্টার জলসা

টেলিভিশন (Television) চ্যানেলগুলির মধ্যে চিরকালীন প্রতিযোগিতা চলছে, যেখানে একের পর এক চ্যানেল তাদের দর্শকসংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত নতুন কৌশল গ্রহণ করছে। একদিকে এক চ্যানেল দীর্ঘকাল ধরে শীর্ষস্থানে ছিল, অপরদিকে অন্য চ্যানেলটির লাগাতার নতুন ধারাবাহিক এবং কনটেন্ট দর্শকদের মন জয় করতে শুরু করেছে। তবে, সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা ঘটেছে, যা বাংলা টেলিভিশনের রেটিং কাঁপিয়ে দিয়েছে। তবে, প্রশ্ন হচ্ছে—এই চ্যানেলটি আসলে কে?

আজকের দিনে টেলিভিশন রেটিং এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ফলোয়ার সংখ্যা এমন একটা বিষয় যা আরেকটি নতুন রূপ নিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে দুটি চ্যানেলের ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় কাছাকাছি, কিন্তু কী এমন কারণ যা এক চ্যানেলকে আরেকটির চেয়ে এগিয়ে নিয়ে গেল?

সম্প্রতি স্টার জলসা, জি বাংলাকে টেলিভিশন রেটিংয়ে ছাপিয়ে গেছে। স্টার জলসার ধারাবাহিকগুলির মধ্যে “গৃহপ্রবেশ”, “রোশনাই”, “দুই শালিক” এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলি দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এছাড়া, “অনুরাগের ছোঁয়া”, এবং “কথা”সহ আরও অনেক নতুন প্রোগ্রাম স্টার জলসাকে দর্শকদের পছন্দের তালিকায় উপরে নিয়ে এসেছে।

অন্যদিকে, জি বাংলা “নিম ফুলের মধু”, “ফুলকি” এবং “মিত্তির বাড়ি”-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিক উপস্থাপন করলেও, তাদের টিআরপি কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। স্টার জলসার কনটেন্ট এবং দর্শকদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষমতা এই ফারাক তৈরি করেছে। এছাড়া, স্টার জলসার সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ারের সংখ্যা এখন ১৫ মিলিয়ন, যা জি বাংলার ১৪ মিলিয়ন ফলোয়ারের তুলনায় একধাপ এগিয়ে রয়েছে।

এছাড়া, স্টার জলসার বিজ্ঞাপন আয়ের ক্ষেত্রেও উন্নতি হয়েছে। বিজ্ঞাপনদাতারা এখন বেশি আগ্রহী স্টার জলসাতে তাদের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে, যার ফলে চ্যানেলটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। জি বাংলা এখনও শক্তিশালী প্রোগ্রাম প্রচার করলেও, স্টার জলসার একাধিক ধারাবাহিক এবং অনুষ্ঠানসমূহ তাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। এই নতুন পরিস্থিতিতে, টেলিভিশন জগতে শীর্ষস্থান নিয়ে চ্যানেলগুলির মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। যে প্রতিযোগিতা এখন শুরু হয়েছে, তা ভবিষ্যতে আরও আকর্ষণীয় হতে চলেছে, এবং এই দুটি চ্যানেল তাদের দর্শকদের মন জয় করার জন্য আরও সৃজনশীল কৌশল গ্রহণ করবে।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।