জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বহু বছরের পরম্পরায় ছেদ, মনখারাপ ‘রান্নাঘর’ খ্যাত সুদীপার, রথের দিনই পিছিয়ে গেল কাঠামো পুজো!

দীর্ঘ বছরের রীতি, কিন্তু এ বছর বাদ রথযাত্রা মানেই উৎসবের আমেজ, ঘরে ঘরে পুজো, প্রসাদ, ভোগ, আর সঙ্গে নানা আচার। বাংলার অনেক পরিবারেই এই দিনটি বিশেষ ভাবে পালন করা হয়। তবে টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ ও ‘রান্নাঘর’ খ্যাত অভিনেত্রী সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারে রথযাত্রা মানেই আরেক বিশেষ মাহাত্ম্য—এই দিনেই হয়ে থাকে দুর্গা প্রতিমার কাঠামো পুজো। বহু বছর ধরে চলে আসা এই রীতি, এবার আচমকাই থেমে গেল! আর সেই কারণেই বেজায় মনখারাপ অভিনেত্রীর।

রথের দিনেই হতো কাঠামো পুজো, কেন পিছিয়ে গেল? গত বছরও নিয়ম মেনে রথের দিনেই সুদীপার বাড়িতে হয়ে গিয়েছিল কাঠামো পুজো। কিন্তু ২০২৫-এর রথযাত্রায় সেই পুজো আর হল না। কেন এই আকস্মিক পরিবর্তন? এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুদীপা জানান, ‘এই বছর কাঠামো পুজোর কাঠ আমাদের পছন্দ হয়নি। কাঠ ভালো না লাগলে আমরা পুজো করি না।’ কাঠ ঠিকঠাক না হওয়ায় পুজোর দিন পিছিয়ে গেল, যা স্বাভাবিক ভাবেই মন খারাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অভিনেত্রীর জন্য।

উল্টোরথের দিন কাঠামোর গায়ে মাটি লাগবে যদিও রথের দিনে কাঠামো পুজো হয়নি, তবে উল্টোরথে সেই কাজ সম্পন্ন হবে বলেই ঠিক হয়েছে। সুদীপা নিজেই জানান, রথের দিন তাঁর স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের বড় ছেলে আকাশ গঙ্গাপুজো করে ঘরেই পবিত্র মাটি এনেছেন। ঠিক সেই মাটিই ব্যবহৃত হবে কাঠামো তৈরির প্রথম ধাপে, অর্থাৎ উল্টোরথের দিন কাঠামোর গায়ে মাটির প্রথম প্রলেপ লাগবে। এইভাবেই বছরের অন্যতম পবিত্র দিনে অন্তত কোনও না কোনওভাবে রীতি ধরে রাখার চেষ্টা করছেন অভিনেত্রী।

পুজো না হলেও ভোগ নিবেদন চলল আগের মত যদিও কাঠামো পুজো পিছিয়ে গেল, কিন্তু রথের দিনে ভক্তিভরে পুজো এবং ভোগ নিবেদন কোনওভাবেই বাদ যায়নি। প্রতি বছরের মতোই সুদীপার বাড়িতে মহাধুমধামে রথযাত্রা পালন করা হয়েছে। জগন্নাথ দেবের উদ্দেশে তিনি নিবেদন করেছেন অনন্য এক প্রসাদ—হলুদ ছাড়া অন্নভোগ, সুস্বাদু মালপোয়া, ভাজা, তরকারি, আর একাধিক পদ। বিশেষভাবে চমক ছিল ৫৬ ভোগের অন্যতম ‘কণিকা ভোগ’—একটি বিশেষ মিষ্টি পোলাও, যা একান্তভাবেই উৎসর্গ করা হয় ভগবানকে।

মনখারাপের মধ্যেও চলল আচার অনুষ্ঠান সুদীপার মনখারাপ সত্ত্বেও তাঁর পরিবার যেভাবে রীতিনীতিকে বজায় রাখার চেষ্টা করেছে, তা প্রশংসনীয়। কাঠামো পুজো না হলেও, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কারের প্রতি তাঁদের নিষ্ঠা স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। পুজোর দিন পবিত্রতা রক্ষা করে রীতিমতো আয়োজন, প্রসাদ বিতরণ, এবং ভক্তিভরে পালন করেছেন রথযাত্রা। আগামী উল্টোরথে কাঠামো পুজোর মধ্য দিয়ে আবারও শুরু হবে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি। আর ততদিন, বিশ্বাসেই বাঁচবে বাংলার এই প্রথা।

Tolly Tales

                 

You cannot copy content of this page