জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

কন্যাদান এড়িয়ে নজির গড়লেন শ্বেতা! কোন নিয়মে সাত তাকে বাঁধা পড়লেন শ্বেতা রুবেল?

টলিউডে চলছে বিয়ের মরসুম। একের পর এক জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রীরা বসছে বিয়ের পিঁড়িতে। গত বছর ঝলসানো গরমে বিয়ে করেছিলেন রাতুল-রূপাঞ্জনা। বেশ হৈচৈ পড়েছিল তাঁদের বিয়ের সময়। তারপরে লাভ বার্ড আদৃত-কৌশাম্বি সেরেছিলেন বিয়ের পর্ব। আবারো টলিউডে বাজলো বিয়ের ঘন্টা। বিয়ের সাত পাঁকে বাঁধা পড়লেন আরও এক টলিউড জুটি। নিয়ম মেনে বৈদিক মতে বিয়ে সারলেন শ্বেতা ভট্টাচার্য (Sweta Bhattacharya) ও রুবেল দাস (Rubel Das)। দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক পেলো পরিণতি।

জি বাংলার এক সময়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘যমুনা ঢাকি’ তে একসঙ্গে প্রথম কাজ করেছিলেন শ্বেতা-রুবেল। সেই থেকেই বন্ধুত্বের সূত্রপাত। কানাঘুসো প্রেমের সম্পর্ক শোনা গেলেও দুজনেই ছিলেন মুখ খুলতে নারাজ। বিয়ের প্রস্তুতি গোপন করেছিলেন শ্বেতা রুবেল দুজনেই। অবশেষে নতুন বছরের প্রথম দিকে সব ধোঁয়াশা কাটিয়ে বিয়ের খবর সামনে এনেছিলেন তারা। ১৯ শে জানুয়ারী রবিবার শেষ হলো সব অপেক্ষার অবসান। সমস্ত রীতিনীতি মেনে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন যুগল।

শ্বেতা ভট্টাচার্য, রুবেল দাস, sweta Bhattacharya, Rubel Das, wedding, haldi ceremony

‘নিম ফুলের মধু’ সিরিয়ালের অ্যাকশন দৃশ্য শুট করতে গিয়ে পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন রুবেল। এমনকি হয়েছিল অস্ত্রোপচারও। সেই সময়ও প্রেমিকের পাশে ছিলেন শ্বেতা। এবার স্বামী স্ত্রী হিসেবে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন দুজনে। বিয়েতেও এলাহি আয়োজনের ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা। জানা গেছে বিয়ের জন্য দমদম ইমামি সিটির বিপরীতে রাজা প্যালেসে বসেছিল শ্বেতা ও রুবেলের বিয়ের আসর। ছিল চোখ ধাঁধানো আয়োজন। পাশাপাশি রয়েছে বেশ বড়সড় খোলা জায়গা যেখানে সব মিলিয়ে প্রায় ৪০০-৬০০ জন অতিথির জায়গা হতে পারে এই ম্যারেজ হলে। জানা গিয়েছে, এটি বুকিংয়ের জন্য নাকি খরচ শুরু হয় ২ লক্ষ টাকা থেকে।

বৈদিক মতে বিয়ে হলো প্রাচীন হিন্দু সংস্কৃতিতে প্রতিষ্ঠিত একটি বিবাহ পদ্ধতি, যেখানে বৈদিক মন্ত্র, আগুনকে সাক্ষী রেখে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বৈদিক বিয়েতে কিছু বিশেষ রীতি ও নিয়ম পালন করা হয়। যেমন বর এবং কনে নিজেদের পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে মণ্ডপে প্রবেশ করেন। এক্ষেত্রে বিয়ের শুরুতে গণেশ দেবতার পূজা করা হয়, যাতে সমস্ত বিঘ্ন দূর হয় এবং বিয়ে মঙ্গলময় হয়। যদি কন্যাদান করা হয়, কনের বাবা তার কন্যাকে বরকে অর্পণ করেন। তবে শ্বেতা-রুবেলের ক্ষেত্রে কন্যাদান এড়ানো হয়েছে, যা একটি ব্যতিক্রম।

বৈদিক মতে বিয়েতে মণ্ডপে অগ্নিকে প্রতিষ্ঠা করা হয়, কারণ অগ্নিকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করা হয়। অগ্নি দেবতাকে পূজা করা হয়, বিয়ের পবিত্রতা রক্ষার জন্য। এরপর বর এবং কনে একসঙ্গে যজ্ঞে আহুতি দেন। সপ্তপদী হলো বৈদিক বিয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এই ধাপে বর-কনে অগ্নির চারপাশে সাতটি পাক ঘোরেন এবং প্রত্যেক পাকের সঙ্গে একটি করে প্রতিজ্ঞা করেন। বর কনের সিঁথিতে সিঁদুর পরান এবং মঙ্গলসূত্র পরান এবং বর-কনে উপস্থিতদের কাছ থেকে আশীর্বাদ নেন। শ্বেতা-রুবেলের ক্ষেত্রে তাঁরা কন্যাদান এড়িয়ে গিয়ে আরও সমানাধিকার ও আধুনিক মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিয়েছেন, যা অনেকের কাছে সমসাময়িক যুগের উদাহরণ।

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

                 

You cannot copy content of this page