বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে রচনা ব্যানার্জীর নাম বহু জনপ্রিয় নায়িকাদের সঙ্গে উঠে আসে। একটা সময় নিজের অভিনয় গুনে দর্শকদের মুগ্ধ করেছিলেন তিনি। তবে তিনি যে শুধু অভিনয় জীবন বাংলায় সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন তা নয় বাংলার পাশাপাশি উড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিতেও নিজেকে সফল অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।
বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার মাঝে বেশ কয়েকটা বছর তিনি উড়িষ্যা গিয়ে সেখানকার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন আর সেই সুবাদে সেখানকার সুপারহিট নায়িকা হয়ে গিয়েছিলেন। তবে আজ গোটা বাংলার কাছে একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রীর সাথে সাথে তিনি একজন জনপ্রিয় সঞ্চালিকা।
প্রসঙ্গত জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো ‘দিদি নাম্বার ওয়ানে’ তিনি বহু বছর ধরে সঞ্চালনা করে আসছেন। সেই সুবাদে তিনি এখন বাংলার ঘরে ঘরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তার ভক্তরা তাকে রচনা নামেই চেনে। তবে অভিনেত্রীর আসল নাম যে এটা নয় তা অনেকেই জানেন না। এই নামটা তিনি পেয়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পর।
প্রসঙ্গত রচনা ব্যানার্জি যখন প্রথম বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন তখন তার বিপরীতে ছিল সব জনপ্রিয় টলিউডের নায়িকারা। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেশ পরিশ্রম করেই তাকে নিজের নাম করতে হয়েছিল। তবে জীবনে কখনো হাল ছেড়ে দিতে শেখেননি তিনি। সেই সঙ্গে পরিশ্রম করে গেছেন। কোন কিছুর সাথে আপোস না করে তিনি যেভাবে নিজের নাম বিনোদন দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠা করেছেন তা সত্যি লোককে অনুপ্রেরণা দেয়।
তবে রচনা যখন প্রথমবার ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন সে সময়ের বিখ্যাত টলিউডের অভিনেতা তথা পরিচালক সুখেন দাস তাকে এই নামটি দেন। তার কারণ তার আগের নাম পরিচালকের পছন্দ হয়নি। তবে এখনো সেই নামেই স্কুলের শংসাপত্রে রয়ে গেছে অভিনেত্রীর। আবার জানা যায় এই নামে তিনি মিস ক্যালকাটা খেতাব জিতে ছিলেন।
তবে রচনার আসল নামটা কি? এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর আসল নাম হল ঝুমঝুম ব্যানার্জি। যখন তিনি বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম আসেন তখন সুখেন দাসের তাকে পছন্দ হলেও তার নাম পছন্দ হয়নি, তাই তিনি তার নাম বদলে দেন রচনা। আসলে এই নামটি তিনি দিয়েছিলেন ‘রবীন্দ্র রচনাবলী’র থেকে।
আর এভাবেই ঝুমঝুম নাম থেকে রচনা নামে টলিউডের প্রবেশ করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এই নামটি তাকে সফলতার শীর্ষে নিয়ে যায় এবং এখন সারা বিশ্ব তাকে রচনা ব্যানার্জি নামেই চেনে।