জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Lopamudra Mitra: ‘দিন গালাগালি আমাকে…ঘেন্না করে আমার, কিছুতে কিছু এসে যায় না!’ বাংলা গান গাইতে উঠে চরম হেনস্থা! গর্জে উঠলেন লোপামুদ্রা

নর্থ আমেরিকার বঙ্গ সম্মেলনে গুরুতর অপমানিত হলেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। বর্ষীয়ান কিংবদন্তিকে এহেন হেনস্থার শিকার হতে হবে তা ভাবেননি কখনও। পণ্ডিতজী নিজেই একটি মেলের মাধ্যমে পুরো ঘটনার কথা জানান। জানা যায়, হোটেল থেকে শুরু করে খাবার, গাড়ি, সাউন্ড চেক- প্রতি পদে পদে অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয় পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীকে। বিপদে পড়লেও কোনও ব্যবস্থা নেননি আয়োজক অভীক দাশগুপ্ত, এমনকি তার দেখায় মেলেনি।

আর তারপরই নর্থ আমেরিকা বেঙ্গল কনফারেন্সে গিয়ে চূড়ান্ত অপানিত হতে হয় তাঁকে। কমিয়ে দেওয়া হয় তাঁর অনুষ্ঠানের সময়সীমা। শিল্পীর অপমানে একজোট হয়েছে বাংলার শিল্পী-সমাজ। তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন জয়তী চক্রবর্তী, লোপামুদ্রা সিনহা, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়রা। এবার সেই ঘটনা ঘিরে কিছু প্রশ্ন তুললেন সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, “এরপরও পশ্চিমবাংলার গায়ক-গায়িকা, ব্যান্ড – ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের সম্মান রক্ষা করবে না। ‘আমরা’ হয়ে উঠতে পারবে না, ‘আমি’ হয়েই থাকবে।

অদ্ভুত অপমান সহ্য করে চলতেই থাকবে, বছরের পর বছর। গা বাঁচিয়ে চলবে। আসলে আমরা নিজেরা কেউ আমাদের নিজেদের ভাষা, নিজেদের কাজকে আর শ্রদ্ধা করি না। বিদেশে গিয়ে অনুষ্ঠান করার নামে প্রতিনিয়ত হেনস্থা, শিল্পীদের আওয়াজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।” তিনি আরও লেখেন, তিনি আরও লিখলেন, “শুধুমাত্র জায়গা হারানোর ভয়। এই করতে করতে বিন্দুও যে থাকবেনা, সে চিন্তা কারোর নেই। নাটক, সিনেমার কথা বলতে পারবো না। ওটা আমার বিষয় নয়। আজকাল নিজেকে তথা নিজেদের ঘেন্না করে আমার। দিন গালাগালি আমাকে। মনের জ্বালা থেকে বললাম। আর কিছুতে কিছু এসে যায় না।

শুধু বিদেশের জন্য বলছি না, স্বদেশে , স্ব-শহরে কি হয়, সেটাও ভেবে দেখো, গানের বন্ধুরা।” লোপামুদ্রার এই পোস্টের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন নেটপাড়ার অনেকেই। এক নেটিজেন লোপামুদ্রাকে সমর্থন করে লেখেন, ‘অত্যন্ত সঠিক ভাষ্য। আজকাল MIM মানে Me, I and Myselfএর যুগ। ‘আমরা’ কোথায় মিলিয়ে গেছে।’ আরও একজন বলেন, ‘এটাই আমাদের অর্থাৎ বাঙালিদের দুর্ভাগ্য! কেউ নিজের স্বার্থটাও ঠিক মতো রক্ষা করতে পারে না। নিজের বলতে “আপনি আর কোপনি (কৌপিন)” ছাড়া কিছুই বুঝতে চায় না।’

নর্থ আমেরিকা বেঙ্গল কনফারেন্সে গিয়ে অপমানিত হওয়ার পর অজয় চক্রবর্তী যখন মেইল করে গোটা ঘটনা জানান। তখন ফেসবুকে লাইভ করে ক্ষোভ উগরে দেন সঙ্গীতশিল্পী জয়তী চক্রবর্তী। পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করে অজয় চক্রবর্তীর মেইলের স্ক্রিনশট নিয়ে ফেসবুকের পাতায় গায়ক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন, “ভারতের সিনিয়র-মোস্ট কিংবদন্তি শিল্পীকে যদি এমন চিঠি লিখতে হয়,তাহলে বেঙ্গলি কনফারেন্স করে লাভ কি? এই অসম্মানটুকু পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর প্রাপ্য বুঝি!! বাঙালি আর কত নীচে নামবে?”

Ratna Adhikary