জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

জবর খবর! বিবাদ শেষে পুরনো সম্পর্কের কাছেই ফিরে গেলেন অভিনেত্রী তিয়াসা লেপচা

টলিউড ইন্ডাস্ট্রি (Tollywood industry) বরাবরই তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চিত। প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ, আবার নতুন সম্পর্কে জড়ানো—এখানে সবই যেন স্বাভাবিক। দর্শকরা যেমন অভিনেতাদের কাজ নিয়ে আগ্রহী, তেমনি তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কম কৌতূহলী নয়। সম্পর্কের ওঠাপড়া এখানে নতুন নয়, তবে কিছু কিছু খবর দর্শকদের মনোযোগ ধরে রাখতে বাধ্য।

সম্প্রতি টলিউডে (Tollywood) বেশ কয়েকটি তারকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ বিয়ে করছেন, কেউ বা দীর্ঘ সম্পর্ক ভেঙে নতুন জীবনের পথে হাঁটছেন। এমন সময় আবারও শিরোনামে উঠে এলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিয়াশা লেপচা। তার ব্যক্তিগত জীবনের পরিবর্তন নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কিন্তু কী সেই পরিবর্তন, যা নিয়ে এত আলোচনা?

তিয়াশা লেপচা, যিনি ‘কৃষ্ণকলি’ সিরিয়ালের মাধ্যমে টেলিভিশন দর্শকদের মন জয় করেছিলেন, এবার নিজের ব্যক্তিগত জীবনের নতুন অধ্যায়ের কথা জানালেন। তার প্রথম বিয়ে ছিল সুবান রায়ের সঙ্গে, যা খুব বেশি দিন টেকেনি। বিচ্ছেদের পর তিনি সোহেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। তবে সেই সম্পর্কও কিছুদিন আগে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। এতদিন এই বিষয়ে চুপ থাকলেও এবার তিয়াশা নিজেই জানালেন তাদের সম্পর্কের বর্তমান অবস্থান।

তিয়াশা বলেন, “সোহেলের সঙ্গে কিছুদিন ধরে সমস্যা হচ্ছিল। আমাদের মধ্যে অনেক মতবিরোধ চলছিল। তবে এখন সব ঠিক হয়েছে। ও অনেকবার সরি বলেছে, আর আমি রাগ করে থাকতে পারিনি। আমরা এখন আবার একসঙ্গে ভালো সময় কাটাচ্ছি।” এই বক্তব্যে স্পষ্ট, তিয়াশা এবং সোহেলের সম্পর্ক এখন নতুন মোড় নিয়েছে, এবং তারা দুজনেই একে অপরকে নিয়ে সুখী।

তবে তিয়াশা আরও বলেন, “আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক কিছু বলা হয়, কিন্তু আমি সবসময় চাই আমার কাজ নিয়ে আলোচনা হোক। আপাতত আমি কাজ আর সম্পর্ক দুটোতেই মনোযোগ দিতে চাই। সব ঠিক থাকলে ভবিষ্যতে কী হবে, তা সময়ই বলবে।” তিয়াসার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে দর্শকের কৌতুহল ছিল তুঙ্গে, প্রায় সব অনুরাগীরাই মনে করেছিলেন তিনি হয়তো তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে ফিরে গেছেন কিন্তু অবশেষে তিয়াসা নিজেই সেই ভুলটি ভাঙিয়ে দিলেন। তিয়াশার এই মন্তব্য তার ভক্তদের মধ্যে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং তার নতুন জীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।