টলিপাড়ার প্রেম, বিচ্ছেদ আর জল্পনা যেন একে অপরের হাত ধরাধরি করে চলে। নতুন জুটি যেমন চোখে পড়ে, তেমনই পুরনো সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার গল্পও ঘোরে ইন্ডাস্ট্রির অলিগলিতে। আর ঠিক সেই রকমই এক জুটিকে ঘিরে ফের উত্তাল বাংলা বিনোদন মহল। যাঁদের প্রেম নাকি বহুদিন আগেই ভেঙে গিয়েছিল, এখন আবার তাঁদের নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা।
এই জুটি দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে। অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন আগেও বহুবার শিরোনামে এসেছে। আগের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর উঠতি এক নায়কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে নানা কথা শোনা গিয়েছিল। যদিও তাঁরা কখনও মুখ ফুটে তাঁদের সম্পর্ককে প্রেমের নাম দেননি। বরাবরই জানিয়েছেন, তাঁরা শুধুই ‘বন্ধু’। কিন্তু একসঙ্গে পার্টিতে যাওয়া, একাধিক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা যাওয়া, এমনকি মুম্বইয়ে একসঙ্গে থাকার খবর— সব কিছুই বাড়িয়েছিল দর্শকের কৌতূহল।
তবে গত কয়েক মাস ধরে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলেই কানাঘুষো চলছিল। একসঙ্গে দেখা যাচ্ছিল না তাঁদের। গুঞ্জন উঠেছিল, প্রেম ভেঙে গেছে। কিন্তু সেই জল্পনার মাঝেই সম্প্রতি টলিপাড়ায় নতুন খবর ছড়িয়েছে— ফের নাকি একে অপরের কাছে আসছেন তাঁরা। এক প্রযোজনা সংস্থার অফিসে দু’জনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে বলে খবর। সেখান থেকেই ফের নতুন করে শুরু হয়েছে তাঁদের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে আলোচনা।
যা জানা যাচ্ছে, সেই অফিসেই অভিনেত্রী নিজে নাকি প্রাক্তন প্রেমিককে দরজার আড়ালে টেনে নিয়ে যান একান্তে কথা বলার জন্য। ঠিক কী কথা হয়েছে, তা অবশ্য প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু অফিস কর্মীদের একাংশের মতে, তাঁদের আচরণ দেখে মনে হয়েছে, সম্পর্ক মেরামতির চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুনঃ খলনায়ক ভরত কলকে বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জয়শ্রী, তারপর কীভাবে বদলাল সম্পর্কের সমীকরণ?
এই মুহূর্তে ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁদের ফের একসঙ্গে সময় কাটানো নিয়েই চর্চা চলছে। অভিনেত্রী অবশ্য ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। প্রেম বা বিচ্ছেদ কোনও নিয়েই প্রকাশ্যে কিছু বলতে চান না তিনি। তবে ইন্ডাস্ট্রির একাংশের দাবি, মান-অভিমান মিটে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যদিও তাঁদের এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে কোন দিকে এগোয়, সে উত্তর এখনও অজানা। তবে টলিপাড়া কিন্তু ফের উত্তেজিত— পুরনো প্রেম কি তবে নতুন মোড় নেবে?
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।