কথায় আছে, ভালোবাসা কোনো জাত দেখে না, দেখে না কোনো রূপ, কোনো ধর্ম। ভালোবাসা শুধু পারে মানুষকে আপন করতে, ভালোবাসতে। আর, এই ভালোবাসাই দেখা যায় জনপ্রিয় টলি অভিনেতা আবীর চ্যাটার্জী এবং তাঁর স্ত্রীয়ের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, আবীরের স্ত্রী অর্থাৎ নন্দিনী চ্যাটার্জীকে সেই অর্থে লাইম লাইটে দেখা যায় না। তবে, টলিউড ইন্ডাস্ট্রির কোনো ঘরোয়া পার্টিতে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। এক কথায় নন্দিনী একেবারে সাদামাটা, ঘরোয়া সাজেই ধরা দেয় ক্যামেরার সামনে।
ব্যক্তিগত জীবনে আবীর নন্দিনীকে ভালোবেসে ২০০৭সালে বিয়ে করেছেন। আবীর যেমন তাঁর অভিনয় জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকে তেমনই নন্দিনী যুক্ত রয়েছে নামকরা এমএনসি সংস্থায়। তবে, স্ত্রীয়ের গুণে স্বামী মুগ্ধ হলেও নেটিজেনরা তাঁর বাহ্যিক রূপ নিয়েও চর্চা করে চলেছেন।
আর, নেটিজেনদের এই চর্চারই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রী ঋতাভরি চক্রবর্তী। সম্প্রতি শহরের এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন এই চ্যাটার্জী দম্পতি। আর, তাঁদের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতেই আবির পত্নীকে নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নানান গুঞ্জন। এই বিষয়গুলো দেখে তাই আর চুপ থাকতে পারেননি ঋতাভরি। এমনই এক ভিডিওর কমেন্ট বক্সে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আমরা কেন যে ‘ফাটাফাটি’ ছবিটা বানিয়েছিলাম, এই কমেন্ট সেকশনই তা বলে দিচ্ছে।’
অভিনেত্রী আরো লিখেছেন, মেয়েরা লিখলেও ভুল। কারও অ্যাপিয়ারেন্সের ভিত্তিতে কাউকে বিচার করা উচিৎ নয়। যেই শরীর নিয়ে কাউকে বাঁচতে হচ্ছে না, তার সেই শরীর নিয়ে মতামত কেন ভাই। এই সমাজ একসময় সতীর নামে পুড়িয়েছে। পড়াশোনা করতে দেয়নি। কিন্তু সময় লাগলেও সম্বিত ফিরেছে। আশা করি, এ ক্ষেত্রেও মানুষের চৈতন্য হবে।’
বছর কয়েক আগে অভিনেত্রী ফাটাফাটি নামের এক সিনেমাতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন যেখানে গল্পটাই ছিল স্বাস্থ্যবান মহিলাদের কেন্দ্র করে। এই সিনেমাতে অভিনেত্রীর বিপরীতে ছিলেন আবীর। সোশ্যাল মিডিয়ার মন্তব্য বাক্সে অভিনেত্রীর এই মন্তব্য কে সমর্থন জানিয়ে একজন আবার তাকে মনে করিয়ে দেন এই বিষয়ে পুরুষদের থেকে বেশি মহিলারাই সমালোচনা করছেন।
আরও পড়ুনঃ টলিউড পেরিয়ে এবার বলিউডে দাপট প্রভাত কন্যা একতা ভট্টাচার্য’র! সোনাক্ষীর ছবি ‘নিকিতা রায়’ দিয়ে বাংলার ‘পোস্টার কুইন’-এর যাত্রা শুরু! মেয়ের সাফল্যে গর্বিত বাবা, প্রখ্যাত পরিচালক প্রভাত রায় কি বললেন?
বলাই বাহুল্য টলিউডে যখন একাধিক জুটি সম্পর্ক ভাঙা-গড়ার খেলায় মত্ত তখন গত ১৬ বছর এই দম্পতি মেয়ে, শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে চুটিয়ে সংসার করছে। কিন্তু, এই দম্পতির মধ্যে এমন সুন্দর বোঝাপড়া থাকার দরুনও সমাজ আজও বাহ্যিক রূপকে প্রাধান্য দেয় তা এইসব ঘটনার মাধ্যমেই স্পষ্ট বোঝা যায়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।
