মানুষের জীবনে সম্পর্ক এমন একটা জিনিস যা কিনা কারোর পক্ষে একা পালন করা সম্ভব নয়। যেকোনো সম্পর্কেই দুই পক্ষের মানুষ কমবেশি দেওয়া-নেওয়ার মাধ্যমেই টিকে থাকে তাঁদের সংযোগ। আর সেই সম্পর্কের ভীত যদি একটু নড়ে যায়, তা ভাঙতে বেশী সময় লাগে না। বলাই বাহুল্য, আজকালকার দিনে সম্পর্কে ভাঙন খুব একটা নতুন কিছু নয়। সাধারণ মানুষ হোক কিংবা সেলিব্রেটি (celebrity) আকচার চলছে সম্পর্কে বিচ্ছেদ।
সবেমাত্র, দুটো দিন হল পেরিয়েছে ভ্যালেন্টাইন্স উইক আর তার মধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে ভাঙ্গনের সুর বেজে উঠেছে। কথা হচ্ছে টলি জগতের স্বনামধন্য গায়ক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী মধুজা চট্টোপাধ্যায়। এই খবর অবশ্য অনেকের কাছেই নতুন নয় কারণ গত বছরের আগস্ট মাসে গায়কের স্ত্রী সমাজ মাধ্যমে ১৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার খবর জানিয়েছিলেন। অনিন্দ্যর স্ত্রী অর্থাৎ মধুজা চট্টোপাধ্যায় পেশায় লেখিকা।
তবে চলতি মাসেই সেই বিচ্ছেদের খবরে আইনি সিলমোহর পড়তে চলেছে। শোনা যাচ্ছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে খুব সম্ভবত খাতায়-কলমে যবনিকা পড়বে তাঁদের সম্পর্কে। তবে, তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোন মন্তব্য করতেই নারাজ অনিন্দ্য-মধুজা। গত বছর কলকাতায় ঘটে যাওয়া তিলোত্তমা কাণ্ডে প্রতিবাদ মিছিলে নেমেছিল শহরের একাংশ। সেই সময় মধুজা শহরের এক সংবাদ মাধ্যমের বিশেষ পাতায় রবি ঠাকুরের গানের পংক্তি ধার করে লিখেছিলেন, “মিলনমালার আজ বাঁধন তো টুটবে ফাগুন দিনের আজ স্বপন তো ছুটবে, উধাও মনের আহা উধাও মনের পাখা মেলবি আয়”।
সেই সময় লেখিকা আরও জানিয়েছিলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ঘরে বাইরের নানান লড়াই লড়তে লড়তে আজ তিনি বড়ই ক্লান্ত তাই ২০১৯ সালে কলকাতা থেকে লোটাকম্বল গুটিয়ে বাসা বেঁধেছে সুদূর মুম্বাইয়ে। সঙ্গী অবশ্য তাঁদের একমাত্র সন্তান জুজু। এই দূরত্বই তাঁদের যেনো আরও নিজেকে চিনতে-বুঝতে সাহায্য করেছে।
আরও পড়ুনঃ কে প্রথম কাছে এসেছি-তে নজর কেড়েছিল সে, এবার নতুন এবং বড় চরিত্রে ফিরছে রাধিকা!
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে দূরত্ব থাকলেও তার প্রভাব পড়তে দেয়নি তাঁদের সন্তানের ওপর। এই দম্পতি সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়েও তাঁরা নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে নেওয়ার চেষ্টা করলেও, তা ছিল ক্ষণস্থায়ী।বর্তমানে সমাজমাধ্যমে মধুজা জানান, “অনিন্দ্য খুব কষ্ট পেয়েছে। পেয়েছি আমিও। আবার সত্যটা মেনে নিয়ে কোথাও একটা নির্ভারও হয়েছি। অনিন্দ্য আর আমি তাই আইনি পথে বিচ্ছেদে পা বাড়িয়েছি। বিচ্ছেদ বিয়ের হয়েছে! জুজুর বাবা-মায়ের হয়নি। দাম্পত্যের হয়েছে— বন্ধুত্বের হয়তো না। আজ সত্যিই তাই খেলা ভাঙার খেলা!”