টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যতম প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা হলেন টোটা রায়চৌধুরী। তবে এই অভিনেতার অভিনয়ের থেকেও বেশি দর্শকদের নজর থাকে তুমি কী স্টান্ট করলেন তার উপর। টোটা রায়চৌধুরী যেভাবে ফিটনেসের বিষয়ে সচেতন সেটা এখনও সমানভাবে বোঝা যায়।
ফের একবার ফেলুদা নিয়ে আসছেন টোটা রায়চৌধুরী। সৌজন্যে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। গল্প “দার্জিলিং- এ জমজমাট”। ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি। আর সেটা দেখেই স্পষ্ট ছত্রে ছত্রে রয়েছে রহস্য।
তবে একটি বিশেষ দৃশ্য দর্শকদের নজর কেড়ে নিয়েছে। দার্জিলিং এর রাস্তায় অ্যাকশন চলাকালীন খাদের দিকে ঠেলে দেওয়া হয় ফেলুদাকে। সেই ঝাঁপ মারার দৃশ্যটি কোনও স্টান্টম্যান নয়, নিজেই করেছেন টোটা রায়চৌধুরী। আর এখানেই বোধহয় অভিনেতার স্বতন্ত্রতা।
সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন অভিনেতা নিজেই। বললেন পরিচালক নিজেই কৃত্রিম বিষয় পছন্দ করেন না। তাই ওই স্টান্ট দিয়ে পরিচালক বলেছিলেন অভিনেতা নিজে করতে পারলে ভালো হয়। যদিও একজন স্টান্টম্যান আনা হয়েছে। তখন টোটা রায়চৌধুরী নিজেই জানান তিনি করবেন সেটা। নয়-দশবার লাফাতে হয়েছে। খাদ খুব গভীর ছিল। ট্রেলার দেখেই তার আন্দাজ পাওয়া যাবে। ।
তার থেকেও বড় কথা ঝোঁপের উপর লাফ দিতে হবে। এর কারণ ওই ঝোঁপ ছিল বলেই ফেলুদা বেঁচে গেল। চা গাছের ঝোঁপ বেশ ধারালো হয়। বেশ কিছু জায়গায় আঘাত পেয়েছেন টোটা। তবে যিনি স্টান্ট মাষ্টার ছিলেন তিনি খুব ভালোভাবে বিষয়টি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে এই চরিত্র করার জন্য শারীরিকভাবে ফিট থাকতে হয় এমনটা বিশ্বাস করেন টোটা। সৃজিতকে তিনি জানিয়েছেন ছোটবেলা থেকেই তিনি যে ব্যায়াম করতেন সেটা সার্থক। বাংলার অভিনেতারাও সচরাচর নিজেরা স্টান্ট করেন না। এ বিষয়টি নিয়ে জানিয়েছেন তিনি ফাঁকিবাজিতে বিশ্বাস করেন না। অভিনয়টাও রিয়েল হবে আর স্টান্টও রিয়েল হবে। ফেলুদা করার জন্য প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে থাকেন টোটা।