টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এবং খ্যাতনামা অভিনেত্রী চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ের একমাত্র পুত্র ‘উজান গঙ্গোপাধ্যায়’কে (Ujaan Ganguly) ইতিমধ্যেই চেনেন অনেকেই। কোথায় দেখেছেন বলুন তো? ঠিক ধরেছেন! ‘রসগোল্লা’ কিংবা ‘লক্ষ্মীছেলে’র মতো ছবিতে উজানের অভিনয় ভালো লাগেনি এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। তবে এবার সে একেবারেই অন্য ভূমিকায় হাজির হচ্ছে। অভিনয়ের পাশাপাশি বাবার মতোই পরিচালনার দিকেও পা বাড়িয়েছে সে। পরিবারিক প্রভাব, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আর পড়াশোনা মিলিয়ে শুরু হচ্ছে তাঁর নতুন যাত্রা।
শুধু কৌশিক-চূর্ণীর পুত্র বা অভিনেতা হিসেবেই নয়, ছাত্র হিসেবেও উজানের যথেষ্ট ভালো পরিচিতি রয়েছে। বিশ্বের সেরা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে চলচ্চিত্র ও বিশ্বসাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছে উজান। আর সেই শিক্ষার ছাপ যে তাঁর কাজেও পড়েছে, সেটা তাঁর আসন্ন কাজেই স্পষ্ট। মহাভারতের গল্প যতটা সাহিত্যিক আর দার্শনিকভাবে গভীর, ঠিক ততটাই সেটাকে ভিজ্যুয়াল রূপ দিতে গেলে প্রয়োজন গবেষণা, পরিশ্রম এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা। উজানও সেই প্রস্তুতিতে বহু বছর কাটিয়েছেন।
এবার শেষ পর্যায় এসে করলেন সেই বিশেষ ঘোষণা। মূলত মহাভারতের কুরুক্ষেত্র খন্ড নিয়ে অ্যানিমেটেড এই সিরিজের নাম ‘কুরুক্ষেত্র’। শুনতে জিনিসটা চেনা মনে হলেও এর ভিন্নতা লুকিয়ে রয়েছে নির্মাণশৈলীতে। পুরো কাজটি তৈরি হয়েছে থ্রি ডি অ্যানিমেশনে! বম্বে, কলকাতা আর পুণে মিলিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রযোজনার কাজ চলেছে। গল্প সাজানো থেকে শুরু করে ভিজ্যুয়াল রূপান্তর, প্রতিটি ধাপে ছিল নতুন চ্যালেঞ্জ। পরিচালনায় প্রথম অভিজ্ঞতা হলেও উজান নিজেই জানিয়েছে, কাজ করতে করতে অনেক কিছু শিখেছে।
আগের থেকে আরও বেশি স্বনির্ভর হয়েছে এবং ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে তাঁর। উল্লেখ্য, ‘মহাভারত’-এর মতো বৃহৎ আর কঠিন আখ্যানকে সিরিজের আকারে গড়া সহজ নয়। উজানের ক্ষেত্রে– শৈশবে টেলিভিশনে দেখা মহাভারতের স্মৃতি, আর নানান সময়ে আলোচনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি। উজান মনে করে, এই অ্যানিমেশন সিরিজ সেই পুরোনো আবেগকে নতুন আঙ্গিকে ফিরিয়ে দেবে। তাঁর লক্ষ্য ছিল মূল গল্পের মর্যাদা বজায় রেখে দর্শকের কাছে নতুনভাবে উপস্থাপন করা।
তাই চিত্রনাট্য ও চরিত্র ফুটিয়ে তোলার সময় বারবার ভেবেছে, কীভাবে আধুনিক রূপে দেখানো যায়। আগামী অক্টোবরের ১০ তারিখ মুক্তি পেতে চলেছে ‘কুরুক্ষেত্র’। এটাই উজানের পরিচালনায় প্রথম কাজ, তাও আবার নেটফ্লিক্সের মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে। এদিন পোস্টার প্রকাশের পর থেকেই দর্শকদের কৌতূহল তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে সে প্রথম বাংলা ফিচার ফিল্ম নিয়েও ব্যস্ত। সব মিলিয়ে টলিউডের তরুণ পরিচালক হিসেবে উজানের এই পদক্ষেপ প্রশংসনীয় মনে করছেন অনেকেই।
আরও পড়ুনঃ “ওদের বন্ডিং সত্যিই খুব ভালো, দুগ্গা-দুগ্গা করে যেন আজীবন এরকমই থাকে”, “কবীর যখন বোনের সঙ্গে খেলে, দেখলে মনে হয় পুতুল খেলছে!”— স্টার জলসার পর্দায় দেবী, বাস্তবে মা কোয়েল মল্লিকের দুই সন্তানকে নিয়ে পুজোর প্রস্তুতি কেমন চলছে?
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।