জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“সিরিয়ালের গুরুত্ব কমেছে” বর্তমান ধারাবাহিক নিয়ে আক্ষেপ করলেন দেবরাজ মুখার্জী

বাংলা বিনোদন জগতের একজন খ্যাতনামা অভিনেতা দেবরাজ মুখার্জী (Debraj Mukherjee)। ছোটপর্দায় দাপটের সঙ্গে একের পর এক ধারাবাহিকে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। যদিও অভিনয় জগতে তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন খল অভিনেতা হিসেবে। পর পর নানান জনপ্রিয় ধারাবাহিকে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেও তিনি নজর কেড়েছেন দর্শকদের। শুধু মাত্র অভিনয়কে ভালোবেসেই অভিনয়ের একপ্রকার পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়েই অভিনয়ের যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি।

কোন কোন ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন দেবরাজ মুখার্জী

প্রতিদান, সোহাগী সিঁদুর, তোমায় আমায় মিলে, মহাপীঠ তারাপীঠ, সাঁঝের বাতি, কাছে আয় সই, মনসা, গোয়েন্দা গিন্নি, বকুল কথা, জয় জগন্নাথ সহ একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি। পুলিশ ফাইল ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেছিলেন তিনি। শেষবার তাকে দেখা গেছে মিঠাই ধারাবাহিকে মিঠির বাবা মহেন্দ্র বিশ্বাসের চরিত্রে। এছাড়াও ভাঁড় (দ্যা ক্লাউন) শর্ট ফিল্মের জন্য বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। ভারতীয় ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। ব্যস কয়েকটি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি।

মডেলিং দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন দেবরাজ মুখার্জী

যদিও অভিনেত্রীর যাত্রা একেবারেই সহজ ছিল না তার জন্য। বাড়িতে ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছেন পড়াশোনার পরিবেশ। বাবা ছিলেন শিক্ষক। আর পাঁচজন বাবার মতোই তিনিও চেয়েছিলেন তার ছেলে সিএ পড়ে চাকরি করুক। যদিও অভিনেতার মনে স্বপ্ন ছিল এই সংস্কৃতি জগতের আসার। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলায় খুব ভালো ছিলেন তিনি। লম্বা, সুঠাম চেহারার অধিকারী হওয়ার কারণে তিনি সুযোগ পান মডেলিংয়ের। কলকাতা টাইমস-এ ছাপা হয়েছিল তার ছবি।

images 7

তবে অভিনয়ে এসেছিলেন হঠাৎ করেই। অভিনেতা অরিন্দম গাঙ্গুলি এবং খেয়ালি দস্তিদারের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তার। তাদের অনুপ্রেরণাতেই অভিনয়ে আসার কথা ভেবেছিলেন তিনি। মুম্বাই গিয়ে অ্যাক্টিং স্কুল থেকে তিনি শিখেছিলেন অ্যাক্টিং। ২০০৬ সালের বন্যার সময় তিনি ফিরে আসেন কলকাতায় সেখানে অরিন্দম গাঙ্গুলির একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করার সুযোগ পান তিনি। সেই থেকেই শুরু হয় অভিনেত্রীর যাত্রা। মিঠাই ধারাবাহিকটি ছিল তার ৯৮ তম ধারাবাহিক।

ধারাবাহিকের গুরুত্ব কমেছে আক্ষেপ করলেন দেবরাজ মুখার্জী

এরপরই তিনি বিয়ে করেন তার প্রিয় বান্ধবীকে। সেইসময় যাতায়াতের সুবিধার জন্য উত্তর কলকাতায় তিনি একটি বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। সেইসময় এতটাই আর্থিক সমস্যায় তিনি পড়েছিলেন যে বাড়িতে বসে চিকেন অর্ডার করে তিনি বলতেন তিনি বাইরে আছেন পরে টাকা দেবেন। হাতে টাকা আসে সেই টাকা তখন ধার মেটাতেন তিনি। যদিও আক্ষেপ করে অভিনেতা বলেছেন “এখন সময় অনেক কম। এখন যে ধরে ধরে শেখায় না। বর্তমানে অভিনয় শেখার পরিসর কমে গেছে। সিরিয়ালের গুরুত্ব কমেছে।” তবে তিনি জানিয়েছেন তিনি রোজ শিখছেন রোজ নিজেকে উন্নত করছেন। তবে সামনে পথে এগিয়ে যেতে তার সবচেয়ে বড় সঙ্গী তার স্ত্রী।

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।