৪৭ বছর পর আবার একসঙ্গে জুটি বেঁধে ফিরেছেন মিঠুন চক্রবর্তী এবং মমতা শংকর। ১৯৭৫ সালে মৃণাল সেনের কালজয়ী মৃগয়া সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন দুজনে। তারপরে আবার এই নিয়ে দ্বিতীয়বার “প্রজাপতি”তে দুজন একসঙ্গে।
পরিচালক অভিজিৎ সেনের এই সিনেমায় হারিয়ে যাওয়া পুরনো বন্ধু দুজন। কিন্তু এতদিন কেন একসঙ্গে কাজ করলেন না দুজন? রয়েছে কোনো অতীতের তীব্র অভিজ্ঞতা? নাকি প্রেম ভাঙ্গার গল্প?
অনেকেই হয়তো জানেন না যে মৃগয়া সিনেমার শুটিংয়ের সময় আসলে বিয়ে ঠিক হয়ে গেছিল এই দুই তারকার। আর এটা কোন সিনেমার গল্প নয়, বাস্তবে সত্যি। কিন্তু শেষমেষ মিঠুনকে নয় বরং চন্দ্রদয়কে নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন এই নৃত্যশিল্পী এবং অভিনেত্রী। এই নিয়ে অভিনেত্রীর মনে কোন অক্ষেপ নেই। বরং তিনি বলেন মিঠুনের সঙ্গে বিয়েটা না হয়ে ভালো হয়েছে। কিন্তু কেন?
এক সাক্ষাৎকার অভিনেত্রী জানিয়েছেন সবটাই ঈশ্বরের প্ল্যান। মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে ভাঙ্গার ফলেই নিজের জীবন সঙ্গীকে আরো ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন মমতা। তবে সম্পর্ক ভাঙার জন্য মিঠুনের সঙ্গে তার সম্পর্কে কোন তিক্ততা আসেনি এটাও পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন তিনি। এখনো তারা খুব ভালো বন্ধু হয়ে রয়ে গেছেন।
মিঠুনের সঙ্গে যখন বিয়ের তারিখ ঠিক হয়ে যায় মমতার সেই সময় চন্দ্রদয়ের সঙ্গে আলাপ। যদিও পুরো গল্পটা খুলে বলেননি তিনি। এখন এই অভিনেত্রীর বর্তমান এবং প্রাক্তন দুজনের খুব ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে বলে জানিয়েছেন। তবে মিঠুনকে বিয়ে করে নিজের স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে পারতেন না।
অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন যে, যদি মিঠুনকে বিয়ে করতেন তাহলে নাচ, সিনেমা সবকিছু বন্ধ হয়ে যেত। কারণ মিঠুন এগুলো পছন্দ করতেন না। বরং তিনি বিশ্বাস করতেন বাড়ির গৃহিণী বাড়ির ভেতরে থাকবে। এই কারণে যোগিতা বালিকে এখন নিজের কেরিয়ার জলাঞ্জলি দিতে হয়েছে বলে দাবি করলেন মমতা।