বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে না হোক করে হলেও ২৫ টি বছর হেসে খেলে কাটিয়ে দিলেন এই বাঙালি নায়িকা। নায়িকার নামেই পরিচয়। তিনি মনামী ঘোষ। একটা সময়ে ছিলেন টেলিভিশনের বাঁধাধরা মুখ, তারপর এলেন বড় পর্দায়। ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা দুই ক্ষেত্রেই সমানভাবে নিজের অভিনয়ের দাপট দেখিয়েছেন এই বঙ্গ তনয়া।
বিভিন্ন চরিত্রে নিজেকে সেই ভাবে তুলে ধরেছেন মনামী। সম্প্রতি তাঁকে দেখা গিয়েছে বেলাশুরু আর বেলাশেষে সিনেমায় যেখানে স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শংকর চক্রবর্তী, অপরাজিতা আঢ্যর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন তিনি পিউ হিসেবে। আর চঞ্চল মেয়েটি নজর কেড়ে নিয়েছে দর্শকদের।
তবু একটা অভিযোগ রয়েছে দর্শকদের এই নায়িকার কাছে। সেটা হলো কেন এতগুলো বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও মুখ্য চরিত্র হতে পারলেন না মনামী ঘোষ? এখন তো আবার লকডাউনকে কাজে লাগিয়ে তিনি খুলে ফেলেছেন নিজের ইউটিউব চ্যানেল যেখানে হাজার হাজার অগণিত ভক্ত নায়িকাকে দেখার আশায় থাকে, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানতে পারে।
তবু টলিউড যেন বড় পর্দায় তাঁকে নায়িকা হিসেবে ভাবতে পারে না। সিনেমায় বরাবর পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে মনামীকে। অথচ একাধিক সিরিয়ালে তিনিই নায়িকা। এবার এই বৈষম্য নিয়ে মুখ খুললেন মনামী ঘোষ।
মনামী জানিয়েছেন প্রকৃতপক্ষে তিনি নিজেও জানেন না ২৫ বছর ধরে কাজ করেও কেন বড় পর্দায় নায়িকা হতে পারলেন না তিনি। কেন কোনও পরিচালক পছন্দ করলেন না তাঁকে? এক্ষেত্রে সরাসরি পরিচালকদের নিশানা করেই নায়িকা বলেছেন কেন আমায় ছবিতে সেভাবে কাজ দেওয়া হয় না সেটা পরিচালকদের জিজ্ঞাসা করুন। আমি জানি না।
অর্থাৎ পরিচালকদের গাফিলতিই কি এর জন্য দায়ী? নাকি রয়েছে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি? সেই প্রসঙ্গে পুরোপুরি নীরব থাকলেন মনামী ঘোষ। আসলে নায়িকা সক্রিয় রাজনীতিতে কোনদিন যুক্ত হয়নি এবং কোনদিন তাঁকে দেখা যায়নি মঞ্চ আলো করতে। এখন বেশিরভাগ পরিচালক থেকে শুরু করে উঠতি বা তারকা হয়ে যাওয়া অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন সকলেই।