জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

রিলস্-প্রোমশনে মেতে যশ-নুসরাত! হঠাৎ মনে পড়েছে, আরজি কর কান্ডে নায়িকার লম্বা পোস্ট দেখে ক্ষেপে লাল নেটিজেনরা

কর্তব্যরত তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ফুঁসছে গোটা বাংলা। টলিউড থেকে বলিউড, রাজনৈতিক নেতা থেকে অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। রাজ্যের এহেন চঞ্চল্যকর পরিস্থিতিতে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন সিনে দুনিয়ার একাংশ। আরজিকরের এই নক্কারজনক ঘটনায় একটি বাক্যব্যয় করেননি অভিনেত্রী নুসরাত জাহান (Nusrat Jahan) ও যশ দাসগুপ্ত (Yash Dasgupta)

রাতের অন্ধকারে আরজি করের মতো সরকারি জায়গায় ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যার ঘটনা ভীতটাই নড়বড়ে করে দিয়েছে রাজ্যের নারী সুরক্ষার। বুধবার এগারো দফা দাবিতে সোচ্চার হয়ে রাস্তায় রাত দখলে নেমে বিচারের দাবি তুলেছিলেন কলকাতাবাসী। এত বড় ঘটনার পরেও একবিন্দু বাক্যব্যয় করেননি মিয়া-বিবি।

অভিনেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ নুসরত জাহান রোজ একাধিক পোস্ট করলেও, আরজি করের ঘটনা নিয়ে একটি পোস্টও করেননি। যশের সমাজমাধ্যমেও এক চিত্র। কমেন্টস সেকশনে এসে একাধিকবার তাঁর প্রতিক্রিয়া চেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ ভক্তদের। তবে অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন যশ ও নুসরত।

অবশেষে বোধদয়! আরজি কর নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট নুসরাত-যশের

গতকাল রাতে একটি লম্বা পোস্ট করেন অভিনেত্রী। তাঁর পোস্টের তরজমা করলে দাঁড়ায়, ‘আরজি করের এই ঘটনা অনেক অস্বস্তিকর প্রশ্ন তুলেছে। সত্যি কি মহিলারা সুরক্ষিত? রাত পর্যন্ত কাজ করার অর্থ বিপদ ডেকে আনা? আমরা কি সত্যি স্বাধীন? আমরা ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবসে পা রাখতে চলেছি। যন্ত্রণাদায়ক, তবে এটাই সত্যি কলকাতা আর সিটি অব জয় রইল না। একজন কর্মনিষ্ঠ ডাক্তার রাতে নিজের কর্তব্য পালন করছিলেন, তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।’

তিনি আরও লেখেন, ‘এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় শহরের নিরাপত্তা হারিয়েছে। এটা আমাদের ভাবনার অতীত, এই খবরে তাঁর পরিবারের অবস্থা কি ছিল? ন্যায় বিচারের এই লড়াইতে আমি আছি। কর্তৃপক্ষ, ক্ষমতাবানদের কাছে আমার অনুরোধ দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হোক। আমি এমন নিষ্ঠুর কাজের তীব্র নিন্দা জানাই। প্রত্যেকের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করার সময় এসেছে।’

অপরদিকে যশ দাশগুপ্ত লিখছেন, ‘মহিলারা যখন স্বাধীনতার জন্য লড়ছেন তখনও কি আমরা স্বাধীনতা পালন করতে পারি?’ যশ-নুসরাতের এহেন পোস্ট দেখে রে রে করে উঠেছেন নেটিজেনরা। এক নেটিজেন আচমকা দুজনের পস্টের বহর দেখে লিখছেন, ‘এর জন্যই তো বিচার আটকে ছিল’।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।