জি বাংলার ( Zee Bangla ) অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলির মধ্যে একটি হল ‘আনন্দী’ (Anondi)। কিছু মাস আগে শুরু হলেও এই ধারাবাহিকটি ইতিমধ্যেই দর্শকদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। প্রথম থেকেই ধীরে ধীরে নিজস্ব স্থায়িত্ব গড়ে তুলছে ধারাবাহিকটি, যা দর্শকদের আকর্ষণ করতে সফল হয়েছে। প্রথম সপ্তাহের পর থেকেই ‘আনন্দী’ স্লট পেতে শুরু করেছে এবং স্লটে নিজেকে মজবুত করতে নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছে। যদিও এখনো প্রতিপক্ষদের হারাতে পারেনি, তবু ধারাবাহিকটি প্রতিদিনই নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে।
আনন্দী আজকের পর্ব ৯ নভেম্বর (Anondi Today Episode 9 November)
আজকের পর্বে শুরুতেই দেখা যায়, আনন্দী বাড়ির বৌদিদের নিয়ে আয়োজন করেছে এক বিশেষ পার্টির। সেই পার্টিতে সবাই মিলে নাচ, গান, আর রঙিন পানীয় পান করে এক রকম মাতাল অবস্থা। আনন্দী আদির সঙ্গে ভিডিও কলে যোগাযোগ করে পুরো ঘটনার ছবি তুলে ধরে। ভিডিওতে আনন্দীর মজা আর হাস্যরস দেখে অস্থির হয়ে বাড়িতে চলে আসে আদি।
এদিকে পার্টির মাঝখানে হঠাৎ করে আদির আগমনে বেশ উত্তেজনা ছড়ায়। আদির চোখের সামনে আনন্দীকে এমন অবস্থায় দেখে সে প্রচণ্ড রেগে যায়। আদির কোনো চেষ্টাই বাকি রাখে না পরিস্থিতি সামলাতে, কিন্তু পার্টিতে সবাই এমন মেতে ওঠে যে আদির কাছে নিয়ন্ত্রণ করা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, আনন্দীও মনের ভেতরের জমা কথা আদিকে জানিয়ে দেয়। এর ফলে আদির রাগের আগুন আরও বেড়ে যায়।
এরই মধ্যে গল্পে আরও উত্তেজনা যোগ করে তিতিরের হঠাৎ উপস্থিতি। আদি বাড়ি পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরেই লাহিড়ী বাড়িতে হাজির হয় তিতির। তার উপস্থিতিতে ঘরে উপস্থিত সবাই তিতিরের উপর নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করে, যার ফলে তিতিরের অবস্থা বেশ বিব্রতকর হয়ে পড়ে। এমনকি আনন্দী রাগের মাথায় সাঁড়াশি নিয়ে তিতিরকে তাড়া করতে থাকে, আর কোনোমতে আদি তিতিরকে রক্ষা করে বাড়ির বাইরে নিয়ে চলে যায়।
অনিরুদ্ধ সহ বাড়ির অন্য সদস্যরা পার্টি শেষে ফিরে এসে এই সমস্ত দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যায়। একদিকে বাড়ির মেয়েদের অবস্থা, অন্যদিকে তিতিরকে নিয়ে এমন বিশৃঙ্খলা দেখে তারা পুরো পরিস্থিতি বুঝে উঠতে পারে না। বাড়ির মধ্যে এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখে অনিরুদ্ধ বিজয়ার প্রতি চরম তিক্ত আচরণ করতে শুরু করে। মদ্যপ অবস্থায় থাকায় কেউ কারো কথায় কানে দেয় না।
আরও পড়ুন: জগদ্ধাত্রী পুজোয় অতিথিদের জন্য বানান অভিনব নিরামিষ পদ, রইল রেসিপি
শেষ পর্যন্ত সবাই নিজ নিজ ঘরে ফিরে যায়, তবে ঘরে যাওয়া সত্ত্বেও পরিস্থিতি থামেনি। আদির রাগ কমার বদলে আরও বেড়ে যায়, এবং সে আনন্দীকে এর জন্য দায়ী করে বারবার বকাবকি করতে থাকে। আনন্দীও নিজের মত করে আদির সামনে যুক্তি উপস্থাপন করতে থাকে। তবে কি সত্যিই আনন্দীরা মদ্যপ ছিল, নাকি এটা ছিল আদিকে ফিরে পেতে এবং তিতিরকে হারানোর জন্য পরিকল্পিত একটি কৌশল? দেখার অপেক্ষায় আগামী পর্বের চমক।