জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

প্রথম অফারেই ভাগ্য বদল রত্নপ্রিয়ার! পূজারিণীর সঙ্গে মিল কোথায়? জানালেন অভিনেত্রী

স্টার জলসার ’উড়ান’ (Uraan) এর হাত ধরেই টেলিভিশনে যাত্রা শুরু অভিনেত্রী রত্নপ্রিয়ার দাস (Ratnapriya Das)-এর। প্রথম অভিনয় হলেও কিন্তু কোনও সমস্যা হয়নি। কারণ অভিনেত্রীর কথায়, পূজারিণী চরিত্রটি অনেকটা তাঁরই মতো। অভিনেত্রী জানান, “অনেক সময়ই মনে হয়েছে, আমি পূজারিণীর জায়গায় থাকলে ঠিক একই কাজ করতাম। তাই আলাদা করে অভিনয় করতে হয়নি, রিঅ্যাক্ট করেছি শুধু।” আবার রত্নপ্রিয়া বলেন, “আমার সামনে কেউ কাউকে অপমান করলে, আমি তার প্রতিবাদ করি।”

নিজের গল্প শোনালেন পর্দার পূজারিণী!

উড়ান ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী পূজারিণী তাঁর পরিবারের সকলকে নিয়ে থাকতে ভালোবাসে। তবে লড়াকু মেয়েটি মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় বিশ্বাসী নয়। সে সহজেই মানুষকে ভালোবেসে মানুষকে আপন করে নেওয়ার ক্ষমতা তার আছে। আর প্রথম কাজেই এমন মনের মতো চরিত্র পেয়ে খুশি রত্নপ্রিয়া। তাঁর কথায়, ‘পূজারিণী যখন ব্যবসা করত, তখন আশেপাশের সব ব্যবসায়ীকেই সে নিজের পরিবার বলে মনে করত।’ বাস্তবেও তাই সহশিল্পী থেকে মেকআপ আর্টিস্ট, সকলের সঙ্গেই সুন্দর সম্পর্ক রত্নপ্রিয়ার। তাঁর কথায়, ‘শ্যুটিংয়ে তিনি দিনের অনেকটা সময় কাটান, তাই এটাই তাঁর পরিবার।’

অভিনেত্রীদের জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সোশ্যাল মিডিয়া। কিন্তু রত্নপ্রিয়ার কথায়, ব্যক্তি বা পেশাগত জীবনে সোশ্যাল মিডিয়ার খুব একটা গুরুত্ব নেই তার কাছে। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রশংসা কিংবা সমালোচনা কোনওটাই তাঁর উপর প্রভাব ফেলে না। তিনি স্পষ্ট বললেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি খুব একটা সক্রিয় নন। তিনি শুধু পোস্ট শেয়ার করেন। এর বাইরে সময় পান না। তবে মাঝে মাঝে কমেন্ট পড়েন। তাঁর কথায়, ভালো প্রতিক্রিয়াই পেয়েছেন। এখনও নেগেটিভ কমেন্ট তাঁর চোখে পড়েনি।

ছোট থেকেই শাস্ত্রীয় নৃত্যের তালিম নিয়েছেন অভিনেত্রী রত্নপ্রিয়া। বর্ষীয়ান নৃত্যশিল্পী তনুশ্রী শঙ্করের কাছে নাচ শিখেছিলেন তিনি। এছাড়া কোরিওগ্রাফার হওয়ার ইচ্ছে ছিল একসময়। কিন্তু তারপর এক বন্ধুর কাছ থেকে মিউজিক ভিডিও করার অফার আসে। আর তাতেই নাকি বদলে যায় ভাগ্যের চাকা। অভিনেত্রী বললেন, মিউজিক ভিডিওটি করে তাঁর খুব ভালো লাগে, অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। আর তখন তাঁর মনে হয়, যেটা ভালোবেসে করতে পারবেন সেটাই যদি পেশা হয়, তাহলে তো ভালোই হবে।

অভিনেত্রীর কথায়, ধারাবাহিকের ভাগ্য অনেক নির্ভর করে সাপ্তাহিক টিআরপি-র উপর। সবে তাঁর কেরিয়ার শুরু করলেও তিনি এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল। তিনি আরও বললেন, ‘টিআরপি অনেক কিছুর উপরেই নির্ভর করে। আর অভিনয়, পরিচালনা, ক্যামেরা, এই সবটা নিয়েই টিআরপি। টিআরপি কমে গেলে মন খারাপ হয় নায়িকার। তবে, তাঁর কাছে প্রত্যেক দিনের কাজটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।