জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

মেয়েকে প্রতিষ্ঠিত করতে জল খেয়ে দিন কাটিয়েছেন ইমনের বাবা! কঠোর পরিশ্রম করেছেন গায়িকা নিজে!অভিনেত্রী সাফল্যের কাহিনী জানেন?

অনেক ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছেন ইমন চক্রবর্তী ( Iman chakraborty )। তার জীবনের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে রয়েছে তার বাবা শঙ্কর চক্রবর্তী ( Sankar Chakraborty )। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছিল সে, তাই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবার তার এই লড়াইটাও ছিল ভয়ঙ্কর। তবে এই পুরো লড়াইয়ে ইমনের বাবা তার পাশে সব সময় ঢাল হয়ে‌ দাঁড়িয়েছিলেন।

গান শেখা থেকে পড়াশোনা মেয়ের যে কোন লড়াইয়ে মেয়ের পাশে সব সময় দাঁড়িয়ে থেকেছেন তিনি। নিজে না খেয়ে মেয়েকে বড় করেছেন তিনি। ইমনের বাবা শঙ্কর চক্রবর্তীর কথায়,“ইমনের জন্য খাবার দাবার সব নিয়ে যেতাম, সকালবেলা বেরিয়েছি রাত্রি ১২টা ১টায় ফিরেছি। ওকে খাইয়েছি কিন্তু নিজে পেটে কিছু দিইনি। জল খেয়ে খেয়ে কাটিয়েছি, যাতে এ কষ্ট না পায়। কারণ ও কষ্ট পেলে গানটা তো আসবে না। ওকে তো আমার ঠিক রাখতেই হবে।”

এক‌ইসাথে শঙ্করবাবু বলেন, তার জীবনে এমনও দিন গিয়েছে যে বাড়ির ভাড়াটুকুও দিতে পারেননি তিনি। কিন্তু মেয়ের গায়ে তিনি আঁচটুকুও আসতে দেননি‌। ইমন এই লড়াইয়ের কোন‌ও কিছুই জানতে পারে নি কখন‌ও। তাই যখন তার বাবা পুরোনো দিনের এই লড়াইয়ের কথা বলেন, তখন ইমন‌ও সেইসব কথা শুনে আবেগঘন হয়ে পড়েন। লড়াই করে ইমন আজ প্রতিষ্ঠিত কিন্তু আজ‌ও তার সমস্ত আবদারের সঙ্গী তার বাবা।

একবার একটি সাক্ষাৎকারে এসে ইমন বলেছিলেন, তার বাবার আবার বিয়ে দিতে চান তিনি। শেষ বয়সে তার বাবা যাতে মনের কষ্ট ভাগ করবার জন্য কোন একজন সঙ্গীকে কাছে পান এই কারণেই তিনি বাবার বিয়ে দিতে চান। তবে তার এই ইচ্ছা এখনো পূরণ হয় নি। অন্যদিকে ইমন নিজের কাজ ও জীবিকা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও শত ব্যস্ততার মাঝেও তার বাবাকে কিন্তু এতটুকু অবহেলা করেন না গায়িকা।

আজ ১৩ই সেপ্টেম্বর গায়িকা ইমনের জন্মদিন। আজকের দিনে ৩৫ বছর বয়স হল তার। আজকের দিনে সকাল ৭:১৫ মিনিটে জন্মেছিলেন তিনি। এইবারের জন্মদিনে তিনি চান আর জি কর কাণ্ডে তিলোত্তমার ন্যায় বিচার। একটি সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় তার প্রার্থনা কী? তার উত্তরে গায়িকা বলেন,নির্যাতিতার চরম ন্যায় বিচার চান তিনি।

ইমন চক্রবর্তীর কথায়,“সত্যিই যদি আমার প্রার্থনা ঈশ্বর শুনতে পান, তাঁকে বলব, নির্যাতিতাকে যিনি ধর্ষণ, খুন করলেন, তাঁর চরম শাস্তি চাই। পুরো দেশ জুড়ে মহিলাদের উপর যে অত্যাচার হয়, যে অশালীন আচরণ হয়, সেটা যেন থামে। মহিলাদের সেক্স অবজেক্ট হিসাবে দেখা বন্ধ হোক। একজন মহিলার শরীরের দিকে যে কোনও সময় তাকিয়ে যৌন-ভাবনা ভাবা যায় না, সেই শিক্ষা যেন পুরুষদের হয়!”

TollyTales NewsDesk